Saint Martin এ কি আছে কিভাবে যাবেন কুথাই থাকবেন ( সেন্ট মার্টিন A to Z )
Saint Martin এ কি আছে কিভাবে ? যাবেন কুথাই থাকবেন ? Saint Martin কি খাবেন ? ( সেন্ট মার্টিন ইতিহাস )
বঙ্গবসাগর এর ছোট একটি দ্বীব সেন্ট মার্টিন ৷ এটি বাংলাদেশের এক মাত্র প্রবাল দ্বীব ৷ বাংলাদেশের সমুদ্র প্রেমি দের কাছে এটি অতি প্রিয় ৷ কারণ বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রের অপার সুন্দরর্য উপভোগ করতে Saint Martin এর মত অপর কোন জাইগা নাই বাংলাদেশে ৷ তাই বাংলাদেশে সেরা পর্যটন কেন্দের মধ্য সেন্ট মার্টিন এর জাইগা সবার উপরে ৷
আজকে আমরা সেন্ট মার্টিন এর ইতিহাস এবং সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানব ! তাহলে চলুন শুরু করা যাক …
St. Martin’s Island ( Saint Martin ) এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :
- সেন্ট মার্টিন মূলত দু’টি নামে পরিচিত। নারিকেল জিঞ্জিরা আর সেন্ট মার্টিন ৷ জিঞ্জিরা মূলত আরবি শব্দ জীন-জাজিরা থেকে এসেছে। জীন মানে জীন বা পরী আর জাজিরা মানে দ্বীপ। বঙ্গবসাগরের উত্তর-পূর্ব দিখে বাংলাদেশের সমুদ্র সিমায় saint martin এর অবস্তান ৷ সর্ব প্রথম কবে এই দ্বীপে মানুষের পদচারণ ঘটেছিল সে , বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য জানা যাই নাই ৷ তবে ধারণা করা হই 250 বছর আগে দ্বীবটি আরব বনিক দের নজরে আসে ৷ আরব বনিকেরা চট্টগ্রাম এবং দক্ষিন-পূর্ব এশিয়াই বানিজ্য করতে এসে এই দ্বীপে জাতরা বিরতি করত ৷
- তারা এর নাম দিয়েছিল ” জাজিরা ” আরবি ভাষায় জাজিরা অর্থ ই হল দ্বীপ ৷পরবর্তিতে আশে-পাশের মানুষের কাছে এটি জিজ্নিরা নামে পরিচিত হয় ৷ যতদুর যানা যাই ১৮৯০ সালে বাঙ্গালি ও রাখাইন সম্পদায়ের ১৩টি পরিবার এখানে স্থায়ি বসবাস সুরু করে ৷ তারা পেশাই ছিল মুলত মতষ জীবি ৷ সেই থেকে এটি বাঙ্গালিদের বসবাস এলাকায় পরিনত হই ৷
- বর্তমানে এখানে ১০ হাজার এর মত মানুষ বসবাস করছে এবং এখানে নয়টি গ্রাম আছে ৷ শুরুতে এখানে শুধুমাত্র ঝাও ও কেয়া গাছ ছিল ৷ বাঙ্গালি জেলেরা এখানে নারকেল গাছ রোপণ করতে সুরু করে ৷ বঙ্গবসাগরের বুকে জেগে উঠা এই দ্বীপে নারকেল গাছ গুবই কাজের ৷
- এই নারকেল গাছ একই সাথে সমুদ্রের বুকে থেকে সাধু পানির চাহিদা লাগব করে পোখর রোদে ছায়া প্রধান সহ সামুদ্রিক ঝড় এ দ্বীপের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে ৷
- এসব কারণে তখনকার লোকেরা বেশিবেশি নারকেল গাছ লাগাতে থাকে ৷ এভাবেই এক সুমা পুরা দ্বীপটি নারকেল গাছ প্রধান দ্বীপে পরিণত হয় ৷ বর্তমানে এখানে দেড় লাখ এর উপরে নারকেল গাছ রয়েছে ৷ তাই একে নারকেল এর দ্বীব বলা হয় ৷ সেন্টমারর্টিন দ্বীপের আর একটি নাম হল দারুচিনি দ্বীপ ৷
- ধারণা করা হয় এক সুমা পর্তুগীজ রা এই দ্বীপে এসেছিল , তারা এই দ্বীপটির নাম দিয়েছিল দারদিউসি দ্বীপ ৷ কিন্তু স্থানিয় লোকজন দারদিউসি উচ্ছারণ করতে পারত না ৷ তাই তারা বলত দারুচীনি দ্বীপ ৷
- ১৯ শো সালের দিকে বিটিশ ভূমি জরিপ কারিরা এ দ্বীপকে বিটিশ ভারতের অংশ হিসেবে অন্তর ভূর্গত্ত করে ৷ সেই জরিপে স্থাই নিমের পরিবর্তে খিষ্টান সাধু মারর্টিন এর নিম অনুসারে বিটিস রা এই দ্বীপের নাম করন করে ” সেন্ট মারর্টিন ” ৷
- সেই থেকেই এই দ্বীপটি সেন্টমারর্টিন নামে অধিক পরিচিত হয় ৷ যদিও গবেষকেরা মনে করে র্দ্বীপটিতে যেহেতু কোন খিষ্টান ও গির্জা নাই ছিলনা তাই সাধু মারর্টিন এর নামে নামকরণ করা টা সম্পর্ন সঠিক নয় ৷
সেন্ট মারর্টিন এর অবস্তান :

সেন্ট মারর্টিন
বঙ্গবসাগরের উত্তর-পূর্ব দিখে বাংলাদেশের সমুদ্র সিমায় saint martin এর অবস্তান ৷ টেকনাফ থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মিয়ানমার উপকুল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে বঙ্গবসাগরের মাঝে নাফ নদীর মোহনায় সেন্ট মারর্টিন দ্বুপের অবস্থান ৷
প্রোশাসনিক ভাবে দ্বীপটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার অধিনে থাকা একটি ইউনিয়ান ৷ এই ইউনিয়ানে ৯ টি গ্রাম আছে ৷ ভৌগোলিক ভাবে এই দ্বীপটি তিনটি ভাগে বিভক্ত ৷
উত্তর অংশ কে বলাহয় উত্তর পাড়া , দক্ষিন অংশকে বলা হয় দক্ষিন পাড়া এবং Saint Martin এর একটি বিশেষ অংশকে বলা হয় ছেড়া দ্বীপ ৷ সরকারি হিসাব মতে Saint Martin এর আয়তন ১৩ বর্গ কিলোমিটার ৷ এই দ্বুপের তিন পালে অগনিত পোবাল পাথর সমুদ্রের অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তিত রয়েছে ৷
সেন্টমার্টিন ভ্রমণ ! Saint Martin এ কি আছে কিভাবে যাবেন কুথাই থাকবেন…
সেন্ট মার্টিন এর সুন্দর্য ( সেন্টমার্টিন দ্বীপের দর্শনীয় স্থান )
সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দিবো কোথা ? সেন্ট মার্টিন এর সুন্দর্য এক কথাই মুগ্ধ করার মত ৷ এই দ্বীপ ভাল করে ঘুরে দেখলে , যে কেও এর প্রেমে পড়তে বাধ্য হবে ৷ সেন্ট মার্টিন এর নৈসারগিগ সুন্দরর্য এর কারণে বারবার এখানে ফিরে আসতে ইচ্ছে করবে ৷ কক্সবাজার বিশ্বের সবথেকে বড় অবিচ্ছেদ্ধ সমুদ্র সৈকত হলেও বাংলাদেশে থেকে সমুদ্রের নীল জল দেখতে হলে আপনাকে Saint Martin আসতে হবে ৷

Saint Martin
সেন্ট মার্টিন থেকে আপনি সাগরের যেদিকে তাকাবেন দেখতে পাবেন সমুদ্রের নীল জল রাশি যা এক কথাই মন মুগ্ধকর ৷ সেন্ট মার্টিন এর সৈকতে দাড়ালে আপনার মনে হবে যেন নীল আকাশ আর নীল জল দিগন্তে গিয়ে এক সাথে মিশে গেছে ৷ আকাশ পরিস্কার থাকলে দ্বীপের পূর্ব-পশ্চিম অংশ থেকে টেকনাফ ও মিয়ানমার এর পাহাড় ও চোখে পড়বে ৷
সেন্ট মার্টিন এ বেশ কয়একটি সৈকত রয়েছে ৷ প্রতিটি সৈকত যেন ভিন্ন ভিন্ন আমেজে তার রুপের পসরা সাজিয়ে বসে আছে ৷ অধিকাংশ সৈকতে রয়েছে অসংক প্রোবাল পাথর ৷ দারুচিনি দ্বীব থেকে সূর্য উদয় ও সূর্য অস্ত খুব ভাল ভাবে উপভোগ করা যাই ৷ ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে এখানে পর্যটক আসত মাত্র ১৫০-২০০ জন ৷ আর বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় দেড়লাখ এর ও বেশি লোক এখানে ঘুরতে করতে আসে ৷
Saint Martin এর পশ্চিম বিচ এ লেখক হুমায়ন আহমেদ এর বাড়ি রয়েছে ৷ সেন্ট মার্টিন এর একটি বিশেষ জাইগার নাম গলা চিপা ৷ এছাড়া ছেড়া দ্বীপ হল প্রধান পর্যটন এলাকা সেন্ট মার্টিন এর ৷ ছেড়া দ্বীপ জোয়ারের সময় মূল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন থেকে আলাদা হয়ে যাই ৷ এ কারণে এই জাইগাটার নাম ছেড়া দ্বীব বলে পরিচিত ৷ ছেড়া দ্বীপ আবার তিনটি দ্বীপের সম্নেয়ে গঠিত ৷
প্রথম দ্বীপটির নাম নিঝুম দ্বীপ মাঝের দ্বীপটি হল আসল ছেঁড়া দ্বীপ সব শেষে রয়েছে প্রোবাল দ্বীপ ৷ ছেড়া দ্বীপ যেতে spred Boat এবং মটর সাইকেল দুইভাবে যেতে পারবেন এবং ভাড়া জোন প্রতি ৩০০—৪০০ টকা নিবে ৷ সেন্ট মার্টিন এর পশ্চিম বিচ এ লেখক হুমায়ন আহমেদ এর বাড়ি রয়েছে ৷ বাড়ির নাম ” সমুদ্র বিলাস ” ৷ সাইকেল ও মটর সাইকেল ভাড়া করে এ দ্বীপটি পুরা ঘুরে দেখতে পারবেন ৷

Saint Martin
সেন্ট মার্টিন এর পুরা সুন্দরর্য উপভোগ করতে হলে আপনাকে এখানে কমপক্ষে এক দিন থাকতে হবে না হলে আপনি এই দ্বীপের সুন্দরর্য উপভোগ করতে পারবেন না ৷ অনেকে আছে যে দিন সেন্ট মার্টিন যাই , সেইদিনই ফিরে আসে ৷
যারা যেদিন যাই সেদিন চলে আসে তারা মাত্র তিন ঘন্টা সময় পাই দ্বীপ ঘুরে দেখার ৷ কারণ দিন ৩ টার সুমা জাহাজ আবার টেকনাফে চলে আসে আর জাহাজ দিনে এক বারই যাওয়া আসা করে ৷
তাই যে জাহাজে যে দিন আপনি সেন্ট মার্টিন যাবেন ঐ দিনে ফিরে আসতে হলে আপনি দ্বীপ ঘূরে দেখার জন্য মাত্র 3-4 ঘন্টা সময় পাবেন ৷ এই জন্য জাহাজের টিকিট কাটার সুমা আপনাকে ওদের বলে দিতে হবে যে আপনি পরের দিন ঐ একই জাহাজে ফিরবেন এবং সেন্ট মার্টিন আপনি একদিন থাকবেন ৷
কিভাবে যাবেন নারকেল জিঞ্জিরা বা সেন্ট মার্টিন

সেন্টমার্টিন ভ্রমণ
বাংলাদেশের যেকোন জাইগা থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে হলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে কক্সবাজার অথবা টেকনাফ ৷ টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে সময় লাগে ৩ ঘন্টা ৷ বর্তমানে সরাসরি কক্সবাজার থেকে সরাসরি সেন্ট মার্টিন যাওয়ার ব্যাবস্তা রয়েছে জাহাজে ৷
কক্সবাজারর বাগখালি নদীর ঘাট থেকে সরাসরি জাহাজ সেন্ট মার্টিন যাই ৷ কক্সবাজারর থেকে সেন্ট মার্টিন এর দুরুত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার ৷ কক্সবাজারর থেকে Saint Martin যেতে সময় লাগে ৫-৬ ঘন্টা ৷
কক্সবাজার থেকে সেন্ট মারটিন যাওয়ার জন্য বিভিন্য প্যাকেজ রয়েছে ট্রাভেলস এজেনসি ৷ আপনি নতুন হলে ওদের সাথে কন্টাক করে ও যেতে পারেন ৷
কখন যাবেন নারকেল জিঞ্জিরা বা সেন্ট মার্টিন ?
নভেম্বরের থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময় টা সেন্ট মার্টিন এর প্রধান পর্যটন মৌসুম ৷ কারণ এসময় সাগর বেশ শান্ত থাকে ৷ পর্যটন মৌসুমে বেশ কয় একটি জাহাজ ও স্রি ট্রাক টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন এ পর্যটক পরিবহন করে থাকে ৷ ডিসেম্বর আর জানুয়ারী এই দুই মাস সেন্ট মার্টিন যাওয়ার সেরা সময়।
সেন্ট মার্টিন সাইকেল ভাড়াঃ
দ্বীপের কয়েক জায়গা বিশেষ করে পশ্চিম বীচ থেকে সাইকেল ভাড়া নেওয়া যায় ঘন্টা প্রতি ৬০-৮০টাকায়। বীচ ধরে ঘুরতে পারবেন মনের সাধ মিটিয়ে।
Saint Martin বিদ্যুৎ সুবিধাঃ
সেন্ট মার্টিনে পিডিবি বা পল্লী-বিদ্যুত এর সংযোগ নাই। পুরোটাই জেনারেটর নির্ভর। রিসোর্ট-হোটেলগুলো সন্ধ্যা থেকে সাধারণত রাত ১০টা-১১টা পর্যন্ত জেনারেটর চালায়। দিনের বেলায় পানির পাম্প ছাড়ার জন্য কিছুটা সময় চালু রাখতে পারে।
শীতকালে ফ্যান লাগে না বলে দিনে কারেন্টের অভাব টের পাওয়াও যায় না। সমস্যা হয় মোবাইল, ক্যামেরা ল্যাপটপ এসব চার্জ করা নিয়ে ।
রাতের বেলা জেটি অর্থাত জাহাজ ঘাটে সারি সারি restaurants আলো-ঝলমলে পরিবেশে মনেই হয় না দ্বীপে কারেন্ট নাই। এরা অনেক রাত অবধি জেনারেটর চালু রাখে।
সুন্দরবন ভ্রমন করতে চান? জেনে নিন সুন্দরবন প্রয়োজনীয় তথ্য …
Saint Martin থাকার ব্যাবস্থা
মাত্র দুই দশকে Saint Martin বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন জাইগা হিসেবে পরিনত হয়েছে ৷ এ কারণে এখানে বহু হোটেল রিসোর্ট গড়ে উঠেছে ৷ ২০১২ সালে এখানে মাত্র ১৭ টি হোটেল ছিল ৷ বর্তমানে এখানে ১২৪ টির মত হোঠেল ও রিসোর্ট রয়েছে ৷ Saint Martin এর পশ্চিম বিচ এই দ্বীপের প্রধান সৈকত ৷ কারণ এখানের হোটেল থেকেই সরাসরি সমুদ্র দেখা জাই এবং এটিই বড় বিচ সেন্টমারর্টিনৈর ৷
Saint Martin কিছু হোটেল ও রিসোর্ট
- সায়রী ইকো রিসোর্টঃ এটি সেন্ট মার্টিনের সবচেয়ে বড় রিসোর্ট। এদের সেন্ট্রাল সোলার সিস্টেম থাকায় 24 hur লাইট এর সুবিধা পাওয়া যায়। ফ্যানগুলো অবশ্য জেনারেটরের সাহায্যে রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে। নিজস্ব রেস্তোরাঁ, কফি জোন, দোকান থাকায় এই রিসোর্টের গেস্টদের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পরে না। প্রাইভেট বীচ, বীচ চেয়ার, হেমক, বোতলের তৈরি বোট গেস্টদের জন্য ফ্রী।
- এটি বীচ থেকে এতো কাছে যে পূর্ণিমার দিনগুলোতে সমুদ্রের পানি রিসোর্টের বীচ পাড়ের দরজা ছুই ছুই করে। এখান থেকে ছেঁড়া দ্বীপ যাওয়া বা স্কুবা করতে চাইলে ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। এই রিসোর্টের একটি সমস্যা হল বাজার থেকে বেশ দূরে।
- নীল দিগন্তেঃ সমুদ্র পাড়ের রিসোর্টগুলোর মধ্যে নিলদিগন্ত অন্যতম। বেশ গুছানো ও পরিপাটি। এই রিসোর্টটির ওয়াচ টাওয়ার থেকে সমুদ্র দর্শন বেশ উপভোগ্য। নিজস্ব রেস্তোরাঁ, বার-বি-কিউ, মিউজিক সব মিলিয়ে নীল দিগন্তে বেশ জমজমাট। তবে সায়রী ইকো রিসোর্টের মতই এটাও বাজার থেকে দূরে। রুম ভেদে ভাড়া ২৫০০-৩৫০০ টাকা। যোগঃ +8801730051004
- ব্লু লেগুন রিসোর্টঃ এই রিসোর্ট সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পশ্চিম বীচে অবস্থিত। হোটেল অবকাশ থেকে হেঁটে যেতে হয় ৫ মিনিট। রিসোর্ট থেকে আপনি সূর্যাস্ত এবং রাতের নয় নাভিরাম দৃশ্য দেখতে পাবেন। রিসোর্টে রয়েছে খাবার শু-ব্যবস্থা। রুম ভাড়াঃ কাপল (১৫০০-২০০০) ডাবল (১৪০০-২৫০০)। যোগাযোগঃ +88০১৭২৩৫৮৬৮৭৭; +88০১৬৭৩১১১২৩৭
Saint Martin হোটেল / রিসোর্টঃ
১। সায়রী ইকো রিসোর্ট (০১৭১১২৩২৯১৭; ০১৯১৯১১১২১১) ৯। পান্না রিসোর্ট (০১৮১৬১৭২৬১৫),
২। নীল দিগন্তে (০১৭৩০০৫১০০৪) ১০। ড্রিম নাইট (০১৭১০৩৯০২৫১)
৩। সিমানা পেড়িয়ে(০১৮১৯০১৮০২৭) ১১। ব্লু মেরিন (০১৮১৫৬৩২০৩৭, ০১৭১৩৩৩৯৯০০১)
৪। কোরাল ভিউ (০১৯৮০০০৪৭৭৮) ১২। সেন্ড শোর (০১৮১৫৬৪৮৭৩১)
৫। ব্লু লেগুন (০১৭২৩৫৮৬৮৭৭, ০১৮১৮৭৪৭৯৪৬) ১৩। হোটেল সি ইন
৬। সমুদ্র কুটির ১৪। সমুদ্র বিলাস (০১৮৩৭১৯৬৪৫৪ )
৭। প্রাসাদ প্যারাডাইস(০১৭৯৬৮৮০২০৭) ১৫। টিসিবি রিসোর্ট।
৮। লাবিবা বিলাস(০১৭১৪৬৩৪৭৬২), ১৬। সমুদ্র কানন।
১৭। মিউজিক ইকো রিসোর্ট
Saint Martin কি খাবেন ?
Saint Martin প্রায় সকল আবাসিক হোটেলের রেস্টুরেন্ট আছে, তাই আপনি চাইলে ওখানে খেয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া সব খাবার হোটেলের বাইরে টেবিলে সাজিয়ে রাখা হরেক রকমের জ্যান্ত মাছ থেকে বেছে নিয়ে অর্ডার দিতে পারবেন।রাতের বেলা বার-বি-কিউ করতে পারবেন, মাছ বাছাই করে ওদের বলে দিলে ওরাই করে দিবে আপনাকে।
- এই দ্বীপের বিখ্যাত হল ডাব। এই দ্বীপের নাম নারিকেল জিঞ্জিরা এমনি এমনি হয়নি। এখানকার ডাবের পানি যেমন মিষ্টি তেমনি সুস্বাদু। সেন্ট মারটিনে গেলে ডাবের পানি মিস করা ঠিক হবে না।
- যারা মাছ খান না আমার মতে তাদের Saint Martin যাওয়ার অধিকারই নেই। কারন কোরাল, সুন্দরী পোয়া, ইলিশ, রূপচাঁদা, লবস্টার, কালাচাঁদার স্বাদ এক কথায় অসাধারণ। আর একটা জিনিস অবশ্য খেয়ে দেখতে পারেন। সেটা হল কুরা, স্থানীয় ভাসায় দেশী মুরগিকে বলা হয় কুরা।
- শুঁটকি মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে লইট্টা, ছুড়ি, রূপচাঁদা, কাচকি ট্রাই করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন বেশির ভাগ শুঁটকি কিন্তু আসে কক্সবাজার ও চট্ট্রগ্রাম থেকে।