সাপে কাঁটা রোগির প্রথমিক চিকিৎসা ! কিভাবে চিনবেন বিষ ধর সাপে কেঁটেছে ?

Posted on : July 16, 2019 | post in : Android Tips,BD News,Others |1 Reply |

হেল বন্ধুরা ! কেমন আছেন সবাই ? আশা করি ভাল আছেন ৷

আজ আমি  আলোচনা করব সাপে এ কাঁটা রুগির প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ৷

সাপে কাঁটা রোগির প্রথমিক চিকিৎসা ! কিভাবে চিনবেন বিষ ধর সাপে কেঁটেছে ? জেনে.

বিষধর প্রাণীদের মধ্যে সাপের কথা সবচেয়ে বেশী শোনা যায়। সব সাপ বিষধর নয়।

বিষধর সাপের বিষ একজন সুস্থ্য মানুষকে ৩০ মিনিট বা তারও কম সময়ের মধ্যে পরপারে পাঠিয়ে দিতে পারে।

আক্রান্ত হলে সাপ তাদের বিষাক্ত ছোবলের মাধ্যমে শিকারী বা আক্রমণকে ঘায়েল করে; এটা তাদের প্রকৃতি প্রদত্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

সাপকে পৃথিবীর সব জায়গাতে দেখতে পাওয়া যায়। বিরান, শুষ্ক মরুভূমি থেকে শুরু করে, বাড়ির আরামদায়ক বেডরুমে খাটের নিচে; বা বাড়ির পিছনের উঠানের ঝোপ-ঝাড়ে।

সাঁপে কাটা রুগি কিভাবে চিনবেন যে বিষাক্ত সাঁপে কেটেছে না কি বিষধর সাঁপে কাটেনি  ?

সাপে কাঁটা রোগির প্রথমিক চিকিৎসা ! কিভাবে চিনবেন বিষ ধর সাপে কেঁটেছে ? জেনে.

সাধারণত সব সাপ বিষধর নয় ৷ কিছু প্রজাতির সাঁপ বিষধর ৷ এদের মধ্য কিছু বেশি বিষধর কিছু কম বিষধর ৷

আবার কিছু এমন বিষধর সাপ রয়েছে যাদের ছোঁববে খুব কম সুমাই মানুষ মারা যাই ৷ যেমন : কিং কোবরা , জারারাকা, ভাইপার , ভাইপার , কাল কেটো , কোবরা ইত্যাদি ৷

সাপে ছোবলের পরিনাম !!!!

সাপে কাঁটা রোগির প্রথমিক চিকিৎসা ! কিভাবে চিনবেন বিষ ধর সাপে কেঁটেছে ? জেনে.

আমাদের মধ্য যাদের কে একবার সাপে কেটেছে, তাদের কাছে থেকে বিষের ভয়াবহ প্রতিক্রিয়াগুলো সম্পর্কে জানা যায়।

বিষের প্রতিক্রিয়ায় দম বন্ধ হয়ে যায়, বমি আসে, গা গুলানো ভাব হয়, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবস বা শরীর প্যারালাইজ হয়ে যেতে পারে।

সময়মত এন্টি-ভেনিন (antivenin) ইনজেকশন দিয়ে অনেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন, কিন্তু যাদের হাসপাতাল পর্যন্ত নেয়া সম্ভব হয় না, তারা মৃত্যু মুখে পতিত হন।

একটা কথা পরিষ্কারভাবে মনে রাখা দরকার যে, মানুষ দেখলেই সাপ কামড়াবার জন্য তেড়ে আসে না। বরং, উল্টাটা ওরা বাঁচার জন্য পালাই !

সাপ ঝামেলা এড়িয়ে থাকতে পছন্দ করে। সাপদের এই স্বভাবটা মানুষের মনে রাখা প্রয়োজন।

কখনও যদি সাপের সামনে পড়ে যান, তবে তাকে উত্যক্ত না করে; সাপকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে নিজের কাজে চলে যান।

সাপে কাঁটলে মানুষ কত সুমা বেঁচে থাকে ?

সাপে কাঁটা রোগির প্রথমিক চিকিৎসা ! কিভাবে চিনবেন বিষ ধর সাপে কেঁটেছে ? জেনে.

সাপে কাঁটলে সাধারণত মানুষ 2-3 ঘন্টা বেঁচে থাকে ৷ তবে এটা নির্ভর করে কি সাপে কেঁটেছে তার উপর ৷ অতিরিক্ত বিষধর সাপে কাটলে 15 মিনিটের মধ্য ও মানুষ মারা যাই ৷

সাপে কাটা ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসা না করলে তার তিলে তিলে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হয়।

সাপে কাঁটলে কি করতে হবে প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ?

প্রথমেই সাপে কামড়ানো রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে যে তার কোনো বিপদ হবে নাই। কারণ 90% মানুষের মৃত্যু হই ভয় পেয়ে ৷

একারণে তাদের সাহস বাড়াতে হবে ৷  উত্তেজনায় রোগীর হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এতে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মারা যাই ৷

রোগীকে এমনভাবে শোয়াতে হবে যেন কামড়ের স্থান হৃদযন্ত্র বরাবর কিছুটা নিচের দিকে থাকে।

দেহের আঁটোসাঁটো পোশাক, অলংকার ইত্যাদি খুলে ফেলুন। কামড়ের ওপর দিকে একটি ফিতা বা রশি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে ফেলুন।

বিষক্রিয়ায় রোগীর হৃদস্পন্দন অনেক সময় বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়। সে ক্ষেত্রে সিপিআর দিন।

অর্থাৎ, কেউ পানিতে ডুবে গেলে বা অন্য কোনো শকে আক্রান্তকে যেমন শুইয়ে বুকে দুই হাত দিয়ে চাপ দিতে থাকুন। এভাবে হার হৃদযন্ত্র সচল করে ফেলুন।

সাপে কাঁটলে যে কাজ গুলো কখনও করবেন না !

প্রথমেই সাপে কামড়ানো রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে যে তার কোনো বিপদ হবে নাই। কারণ 90% মানুষের মৃত্যু হই ভয় পেয়ে ৷

একারণে তাদের সাহস বাড়াতে হবে ৷  উত্তেজনায় রোগীর হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এতে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মারা যাই ৷

সাপে কাঁটলে নিজেকে কন্টরল করুন  ৷ কারণ সাপে কাঁটলে সাধারণত মানুষের মাথা ঠিক থাকে না ৷ ফলে সে দোঁড় শুরু করে বাঁচার জন্য ৷

কিন্তু এতে বিষ দ্রুত শরীলে ছড়িয়ে পড়ে ৷ তাই সাপে কাটলে জাগাই বসে পড়ুন ৷ এতে বিষ ধিরে ধিরে ছড়াবে এবং আশেপাশে কার সাহায্য নিন  ৷

কামড়ের স্থান সাবান দিয়ে ধোবেন না। আক্রান্ত স্থানের আশপাশে কেটে রক্ত বের করবেন না। ইলেকট্রিক শক দেবেন না। ঠাণ্ডা পানি বা বরফ কামড়ের স্থানে ধরবেন না।

বড় বিষয়টি হলো, সে সাপ কামড়েছে তাকে ধরে মারার পেছনে সময় নষ্ট করবেন না।

সাপে কাঁটা রোগির প্রথমিক চিকিৎসা ! কিভাবে চিনবেন বিষ ধর সাপে কেঁটেছে ?

আক্রান্তকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন। রোগীকে পানি বা কোনো ধরনের পানীয় পান করাবেন না।

সাপের বিষক্রিয়া দূর করতে এভিএস অ্যান্টডোট ব্যবহার করা হয়। এভিএস এর আবার মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।

এতে মধ্যম থেকে মারাত্মক অ্যালার্জির সৃষ্টি হয় যাকে অ্যানাফাইল্যাক্সিস বলে। কাজেই দেহে এভিএস প্রয়োগ করার আগে আবার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিষ্ক্রিয় করার অ্যান্টিডোটসহ ব্যবহার করতে হবে।

আবার কেউ যদি কখনো বিষাক্ত বা সামান্য বিষাক্ত সাপের কামড় খেয়েও বেঁচে যান, তবে দ্বিতীয়বারের কামড়ে তাকে বাঁচাতে শক্তিশালী এভিএস ব্যবহার করতে হবে।

One Comment

Leave a Reply

 
Theme Designed Bybody{border:6px solid orange; margin:6px;}
Skip to toolbar