নির্বাচনে সেনাবাহিনী মাঠে নামার আগেই চমক দেখাল খুশি বিএনপি আতঙ্কে পুলিশ
আগামি ১১তম নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর মাঠে নামার আগেই চমক দেখাল রামগঞ্জের এ !

নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
নির্বাচনে সেনা বাহিনীর দুটি গাড়ি রামগঞ্জের এর লক্ষীপুর গিয়েছে। পথিমধ্যে তারা সোনাপুর ক্রস করার সময় দেখলো সোনাপুর মোড়ে প্রচুর ভীর অথচ পাশেই দুজন এস আই দাড়িয়ে কথা বলছে।
সেনা বাহিনীর সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে তাদের দুজনকে কাছে ডাকলেন। তাদের বললেন, এখানে এত ঝানঝট, আপনারা বসে আছেন কেন ? তারা কোন উত্তর দিতো পারলো না।
.
তাদের কে বলা হলো, আমাদের ফলো করেন। ততক্ষনে তারা ওসিকে ফোন করে রামগঞ্জ চৌরাস্তায় আসতে বললো। তিনিও হাজির হলেন। তাদের জিঞ্জেস করা হলো, রাস্তায় এত ভীর হয়, পুলিশ কেন দায়িত্ব্য পালন করে না।
পুলিশের কাজ কি কেবল বিরোধী দল দমনের ? ওসি কোন উত্তর দিলো না। তাদের বলা হলো, দেখুন আমরা আসার সাথে সাথে রাস্তা ফাকা হয়ে গেলো, ঝানঝট নেই ।
অথচ আপনাদের দু এস আই দাড়িয়ে চা খাচ্ছে কিন্তু ঝানঝটের কারনে আমাদের গাড়িও ক্রস করতে পারছিলো না।
.
আগে যা করেছেন সব ভুলে যান, সামনে দায়িত্ব্য ঠিক মতো পালন করুন। আমরা কোন ঝামেলা চাই না।
সাথে সাথে বি এন পি মাইন্ডের কিছু লোক সেখানে উপস্থিত হয়ে আর্মিদের জানালো যে, কিছুক্ষন আগে তাদের লোকদের হয়রানী করা হয়েছে। অফিসার ওসিকে প্রশ্ন করলেন, আপনার দায়িত্ব্য ল এন্ড অর্ডার ফলো করা।
কাউকে হয়রানী করা নয়। নির্বাচনে মাঠে সবাই সমান সুবিধা পাবে, কেউ বিশৃংখলা করলে সাথে সাথে গ্রেফতার করুন। যদি গ্রেফতার করতে আপনাদের সমস্যা হয় তাহলে লিষ্ট দিবেন, আমরা ব্যবস্থা নেবো। আমরা থাকতে কোন প্রকার গোলযোগ হতে পারবে না। ওসি কোন কথাই বললো না, কেবল জ্বি জ্বি করলো।
.
এ হচ্ছে অবস্থা। এরা এখনো ডিউটি শুরু করেনি। মাত্র এলাকায় তাদের পিছনের বাহিনীর আবাসন, সিকিউরিটির বিষয়টি কনফার্ম করতে গিয়েছিলো, তাতেই তাদের দায়িত্ব্র্যবোধ জেগে উঠেছে এবং পুলিশ বাহিনীকে এক প্রকার ঠেঙ্গানী দিয়েছে।
যদি ঠিক মতো দায়িত্ব্য পেয়ে যায় এবং আল্লাহ করে তারা নিরপেক্ষতা দেখায় তাহলে নিশ্চত জেনে রাখুন, লীগ খুজে পাওয়া মুশকিল হবে। ওদের পোষ্টার ব্যানার থাকবে কিন্তু ওরা মাঠে আসবে না।
.
ভদ্রলাক আমাকে ফোন করে জানালেন, আনোয়ার মিয়ার চাপে পড়ে বি এন পির কর্মীরা এত দিন রাস্তায় নামেনি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতো, অথচ আর্মির গাড়ি যাওয়ার সাথে সাথেই পোলাপান ওসির সামনেই জিয়ার সৈনিক বলে শ্লোগান দিয়ে এক জোট হয়ে বাজাড়ে ঢুকে গেলো।
এরকম হলো তো, হাসিনার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দুস্বপ্ন হয়ে যাবে।
কট্টর বি এন পি জামায়াত বিরোধী লোকটি মুখে এসব শুনে আমার কাছে মনে হয়েছে, গতকালকে ফোনে যা শুনেছি, তার যেন কিঞ্চিত বাস্তবায়ন দেখলাম।
ওদিকে ফরিদগঞ্জের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় নাকি ফরিদগঞ্জ ওসিকে ধমকিয়ে গেছে।
পরক্ষনে বি এন পি বিশাল শোডাউন করেছে এবং কোন প্রকার হামলা করার সাহস পুলিশ করেনি।
.
আজকে চাদঁপুরের পুরান বাজারে বি এন পি আওয়ামী লীগ ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। আওয়ামী লীগের ১৩ জন আহত হয়েছে। মজার বিষয় হলো, একজন বি এন পি কর্মীও আহত হয়নি, আর পুলিশও কোন পক্ষ নেয়নি।
আওয়ামী লীগের লোকেরা বলছে, পুলিশ টাকা খেয়ে চুপ হয়ে গেছে।
এজন্য বলি, সর্বোচ্চা দু তিন দিন অপেক্ষা করুন, তারপরে দেখবে, দলে দলে লোক রাস্তায় নেমেছে। ইনশায়াল্লাহ বিজয় আসবেই।