নাইকো দুর্নীতি মামলার হাজিরা দিতে এসে জামাত নয় ঐক্যফ্রন্ট ছাড়তে বললেন : খালেদা
জামাত নয়, ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার নির্দেশ দিলেন বেগম খালেদা জিয়া।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা সংসদ সদস্যদের শপথ না নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ম্যাডাম তা সমর্থন জানিয়েছেন।’ ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘তথাকথিত এই নির্বাচনে আমাদের যে ক’জন, তারা শপথ নিলেই এই সংসদ বৈধতা পাবে। সেটা আমরা চাই না।
ম্যাডামও চান না।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বেগম জিয়া ২০ দলের ঐক্যকে অটুট রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কোন অবস্থাতেই ২০ দলের ঐক্য যেন বিনষ্ট না হয় সেদিকে নজর রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপারসন ‘নেতিবাচক’ মনোভাব দেখিয়েছেন বলে বেগম জিয়ার আইনজীবিরা জানিয়েছেন। বেগম জিয়া বলেছেন, ‘ঐক্যফ্রন্টে আমাদের লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়েছে।
তারা (ঐক্যফ্রন্টের নেতারা) শুধু নিয়েছে কিছু দিতে পারেনি। তাদের কথাবার্তায় বিএনপি সম্পর্কে মানুষের ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে।’ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আমাদের ছিলো নির্বাচনকালীন কৌশলগত ঐক্য।
আর আমাদের ২০ দলের ঐক্য হলো চিন্তা-চেতনা এবং আদর্শের ঐক্য। যেহেতু নির্বাচন শেষ তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ম্যাডাম প্রশ্ন তুলেছেন। তবে তিনি সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দেলন করতে চাই, তবে তা ২০ দলকে বিসর্জন দিয়ে নয়।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য দাবি করেন যে, বেগম জিয়া ২০ দলীয় জোটের ঐক্যকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন।’
বেগম জিয়া জামাতকে ২২ আসন দেয়া নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাব দেয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন বলে একজন আইনজীবী বলেছেন। ঐ আইনজীবী বলেছেন, ‘বেগম জিয়া মনে করেন যে, সরকার বিএনপি এবং ২০ দল ভাঙতে চাইছে।
এজন্য এসব প্রচারণা করছে।’ তিনি জামাত নিয়ে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বেগম জিয়া বিএনপির আদর্শ অটুট রাখার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত থেকে বেরিয়েই আইনজীবীদের কয়েকজন বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করে বেগম জিয়ার মনোভাবের কথা জানান।