life Insurance বা জীবন বীমা কী ? বীমা কত প্রকার ও কি কি ? বীমার বিসতারিত
Insurance বা বীমা কী ? চলুন জেনে নেই বীমা বলতে আমরা কি বুঝি !
Insurance বা বীমা অর্থে এর বিনিময়ে জীবন, সম্পদ বা মালামালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির ন্যায়সঙ্গত ও নির্দিষ্ট ঝুঁকির স্থানান্তর।
এর মাধ্যমে ব্যক্তি বা Insurance প্রতিষ্ঠান অর্থের বিনিময়ে দাতার আংশিক বা সমস্ত সম্ভাব্য ঝুঁকি গ্রহণ করে থাকে। এটি অনিশ্চিত ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার একটি অংশ।
উদাহারণ স্বরুপ হিসেবে Insurance বা বীমা সম্পের্কে বলা যাই যে ,মানুষ সবসময় ঝুকির মধ্যে চলে চল করে ।
যেকোনো সময় তার অনাকাংখিত দুর্ঘটনা বা অসুস্থতা ঘটতে পারে আর এজন্য হাসপাতালে ভর্তি বা ডাক্তার এর কাছে যেতে হয় চিকিৎসার জন্যে।
এমনকি অকালমৃত্যু ও ঘটে। তেমনি কোনো দুর্যোগ বা অনাকাংখিত দুর্ঘটনা কষ্টে অর্জিত স্বপনের গাড়ি, বাড়ী বা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতির হতেপারে। এমন কি ধংস হয়েযেতে পারে।
এ সমস্তো দঃসময়ে অর্থাৎ (দুর্ঘটনা, অসুস্থতা, অকালমৃত্যু , গাড়ি, বাড়ী বা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতি, ধংস অর্থনৈতিক ক্ষতি পুরনের পুর্ব পরিকল্পনাকেই বীমা নিরাপত্তা Insurance Plan বলে।
kinds of Insurance ? ( মীমা কত প্রকার ? )
প্রধানত দুই প্রকার
যথা :-
- ১। সাধারণ বীমা।
- ২। জীবন বীমা।
এবার জেনে নেই life insurance বা জীবন বীমা কাকে বলে
life insurance বা জীবন বীমা পলিসি মূলত বীমা কোম্পানির সঙ্গে এক প্রকার চুক্তি।
প্রিমিয়াম পেমেন্টের
বিনিময়ে বীমা কোম্পানি এককালীন পেমেন্ট প্রদান করে যা ‘ডেথ বেনিফিট’ নামে পরিচিত। এ পেমেন্ট বীমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার পরিবার ভোগ করতে পারে।
জীবন বীমা আপনাকে ও আপনার পরিবারকে ভবিষ্যতের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করবে। এবং এটি আপনার অবসর বা মৃত্যুর পর আপনার পরিবারের ভবিষ্যত ব্যয় প্রদান করবে।
তাছাড়া আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এ টাকা কিভাবে খরচ হবে, বা তা কোন নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে (বন্ধকী,ভাড়া) প্রয়োগ হবে কিনা।
life insurance জন্য আপনাকে যে অর্থ প্রদান করতে হয়, তা অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন কি পরিমাণ অর্থ আপনি পরিবারের জন্য রাখতে চাইছেন বা জীবন বীমা নীতির স্থায়িত্তের পরিমাণ কতটুকু।
এমনকি তা আপনার বয়স,স্বাস্থ্য ও জীবনধারার উপরও নির্ভর করে।
life insurance বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। সাধারণত ব্যক্তি তার প্রয়োজন ও উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে জীবন বীমা নির্বাচন করেন।
life insurance বা জীবন বীমা দুই ধরণের।
-
- ১। term life
- insurance (মেয়াদী বীমাপত্র)
মেয়াদি বীমা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পরিচালিত হয় যেমন ৫-১০ কিংবা ২৫-৩০ বছর মেয়াদি। স্থায়ী জীবন বীমার তুলনায় এ বীমা কম ব্যয়বহুল।
এ বীমা আপনার ক্ষয়িত সম্ভাব্য আয়ের লস্ট পোটেনশিয়াল ইনকাম বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এবং তা আপনার পরিবারের আর্থিক লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে ৷
তবে মনে রাখতে হবে, যদিও এ জীবণ বীমাকে সম্ভাব্য আয়ের বিকল্প হিসেবে বলা হয়, কিন্তু তা শুধুমাত্র এককালীন অর্থ প্রদান করে।
মেয়াদী জীবন বীমার সুবিধা হল আপনার পরিবার আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে গেলে বীমার পেছনে অযথা অর্থ খরচ করতে হবে না।
২। whole life insurance : (আজীবন বীমাপত্র)
আজীবন বীমাপত্র এক প্রকার স্থায়ী জীবন বীমা। এ বীমার কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই। মেয়াদী বীমাপত্র থেকে আজীবন বীমাপত্র অধিক ব্যয়বহুল হয়।
এখানে বীমাগ্রহীতাকে আজীবন বীমা প্রিমিয়ামের টাকা পরিশোধ করতে হয়।
বীমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার পরিবার বীমাপত্রে উল্লেখিত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ভোগ করতে পারবে।
General Insurance বা সাধারণ বীমা
সাধারণ বীমা প্রধানত দু-ভাগে ভাগ করা যায় ।
- 1। Fire Insurance (অগ্নি বীমা)
- 2। Marine Insurance (নৌ-বীমা)
জাল পথে নৌ-জাহাজ, ষ্টিমার ও কার্গো ইত্যাদির জন্য যে ঝুঁকি বহন করে সংক্ষেপে তাকে নৌ-বীমা বলে ।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে নৌ-বীমা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।
জল দস্যুদের আক্রমন, মালের ভারে জাহাজ নিমজ্জিত হওয়া, আকস্মিক দূর্ঘটনায় যে ঝুঁকি বীমায় প্রতিষ্ঠান গ্রহন করে তাকে নৌ-বীমা বলে ।
০২। Fire Insurance বা অগ্নি বীমা পৃথিবীর সব দিকে তাকালে দেখা যায় এবং বিভিন্ন মিডিয়া চ্যানেল-এর মাধ্যমে ঘরে বসে আগুনের ভয়াবহতা অনুভব করা যায় ।
প্রতিনিয়তই সারা বিশ্বের কোন না কোন দেশে আগুনের সূত্র পাত হয় ।
এতে করে মানুষ হারাচ্ছে অনেক শিল্প কারখানা, গার্মেন্টস কারখানা, দোকান পাট, বাড়ী-ঘর ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র। সর্বহারা হচ্ছে মালিকগণ তাদের সহ হারিয়ে ।
বর্তমানে সারাবিশ্ব সহ বাংলাদেশেও-এর প্রাদুর্ভাব অনেক বেশী বেড়েছে ।একমাত্র অগ্নি বীমা করে পুড়ে যাওয়া সম্পদের ক্ষতি পুরণের টাকা দিয়ে দূর্ভোগ জীবন থেকে সুখময় জীবনের সান্নিধ্যে আসা যায়।
উপরের বীমা ছাড়াও আরো অনেক বীমা বিদ্যমান রয়েছে । যেমন :-
- 1 সাময়িক বীমা
- 2 সামাজীক বীমা ও গ্রুপ বীমা ইত্যাদি ।
আসলে আপনার পরিবারে যদি আপনার একার আয় এ যদি আপনার পরিবার চলে তাহলে আপনার জন্য বীমার দরকার ৷
আর যদি আপনি না থাকলে যদি আপনার পরিবার চালানোর কেও থাকে তাহলে আপনার জন্য বীমা না করলেও চলে ৷