life insurance বা জীবন বীমা কি ? জীবন বীমা কাকে বলে ? কেন জীবন বীমা করবেন
জীবন বীমা করার প্রয়োজন সবার রয়েছে এমনটা নয়।
কিন্তু আপনার সন্তান,জীবনসঙ্গী বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা যদি জীবনধারণের জন্য শুধুমাত্র আপনার আয়ের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে,তবে আপনার জীবন বীমার প্রয়োজন রয়েছে।

এটা আপনার মৃত্যুর পর,আপনার পরিবারের খরচ জোগাতে সাহায্য করবে।
জীবন বীমা কি ?
জীবন বীমা পলিসি মূলত বীমা কোম্পানির সঙ্গে এক প্রকার চুক্তি।
প্রিমিয়াম পেমেন্টের বিনিময়ে বীমা কোম্পানি এককালীন পেমেন্ট প্রদান করে যা ‘ডেথ বেনিফিট’ নামে পরিচিত।
এ পেমেন্ট বীমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার পরিবার ভোগ করতে পারে।
জীবন বীমা আপনাকে ও আপনার পরিবারকে ভবিষ্যতের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করবে।
এবং এটি আপনার অবসর বা মৃত্যুর পর আপনার পরিবারের ভবিষ্যত ব্যয় প্রদান করবে।
সেক্ষেত্রে জীবন বীমা একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ বটে।
আপনার ক্রয়কৃত বীমার শ্রেণির উপর নির্ভর করবে বীমা প্রদত্ত টাকার পরিমাণ।
তাছাড়া আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এ টাকা কিভাবে খরচ হবে, বা তা কোন নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে (বন্ধকী,ভাড়া) প্রয়োগ হবে কিনা।
জীবন বীমার জন্য আপনাকে যে অর্থ প্রদান করতে হয়, তা অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
যেমন কি পরিমাণ অর্থ আপনি পরিবারের জন্য রাখতে চাইছেন বা জীবন বীমা নীতির স্থায়িত্তের পরিমাণ কতটুকু।
এমনকি তা আপনার বয়স,স্বাস্থ্য ও জীবনধারার উপরও নির্ভর করে।
জীবন বীমা বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। সাধারণত ব্যক্তি তার প্রয়োজন ও উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে জীবন বীমা নির্বাচন করেন। আসুন জেনে নেই প্রচলিত জীবন বীমা সর্ম্পকে।
১। মেয়াদী বীমাপত্র (term life insurance) : এ ধরণের বীমা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পরিচালিত হয় যেমন ৫,১০ কিংবা ২৫ বছর। স্থায়ী জীবন বীমার তুলনায় এ বীমা কম ব্যয়বহুল।
এ বীমা আপনার ক্ষয়িত সম্ভাব্য আয়ের (লস্ট পোটেনশিয়াল ইনকাম) বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এবং তা আপনার পরিবারের আর্থিক লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে ,যেমন বন্ধকীর টাকা মেটানো,ব্যবসা চলমান রাখা,শিক্ষার খরচ বহন ইত্যাদি।
তবে মনে রাখতে হবে, যদিও এ বীমাকে সম্ভাব্য আয়ের বিকল্প হিসেবে বলা হয়, কিন্তু তা শুধুমাত্র এককালীন অর্থ প্রদান করে।