অনলাইনে আয় করতে চান ? অনলাইনে আয়ের পদ্ধতি গুলা জেনে নিন…
অনলাইনে আয়…
অনলাইন আয় কি ? কিভাবে করব ?
প্রযুক্তির কল্যাণে বদলে গেছে কাজের ধরন। পরিবর্তিত হয়েছে কাজের পরিবেশ। পাল্টে গেছে কর্মী নিয়োগ পদ্ধতিও। দক্ষ ও মেধাবী কর্মীরা এখন ঘরে বসেই কাজ করতে পারছেন।
ঘরে বসেই ইচ্ছা ও প্রয়োজন অনুযায়ী তারা আয় করতে পারছেন বৈদেশিক মুদ্রা। আর এ কাজ করা যাচ্ছে অনলাইনে। অনলাইন আয় বলতে ইন্টারনেট থেকে টাকা উপার্জনকে বুঝায়।
আধুনিক বিশ্বে কাজের জন্য ঘরের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়না ঘরে বসে অনলাইনে আয় করা যায়। অনলাইনে কাজের জন্য ধরাবাধা কোনো নিয়ম নেই এখানে ইচ্ছা মত আয় করা যায়।
অনলাইন থেকে আয় করার প্রথম এবং পূর্ব শর্ত হচ্ছে একটি কম্পিউটার এবং সচল ইন্টারনেট সংযোগ। এই দুটি না থাকলে অনলাইন থেকে আয় করা সম্ভব নয়। এই ক্ষেত্রে কিছু স্পেশাল কাজ ব্যতীত নরমাল যে কোন কম্পিউটার দিয়েই এই কাজ গুলো করা সম্ভব।
কি ধরনের কাজ করে আয় করা যায় online এ ?
অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে রয়েছে নানা ধরনের কাজ যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ফরেক্স ট্রেডিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও, ডাটা এন্ট্রি, লোগো ডিজাইন, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, এ্যফিলিয়েট মার্কেটিং, ব্লগিং, এসইম, এসএমএম, গ্রাফিক্স, ফটোশপ, আর্টিকেল রাইটিং, ভার্চুয়াল সাপোর্ট ইত্যাদি।
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে যে কাজগুলো আছে তার মধ্যে সবেচেয়ে বেশী আছে ওয়েব ডিজাইন/ডেভেলপ এবং এসইও এর কাজ। বর্তমানে ফরেক্স ট্রেডিং খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়াও অনেক কাজ আছে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে, যার সম্মানীও অনেক বেশী।
কিভাবে অনলাইনে আয় করা যায় ?
অনলাইনে বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য উপায়ে আয় করা সম্ভব। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু উপায় নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো:
অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি…
ওয়েবসাইট থেকে আয় :
এখন নিজের একটি website তৈরির জন্য অনলাইনেই অনেক উপাদান পাওয়া যায়। এর মধ্যে ডোমেইন নির্বাচন, টেমপ্লেট ও ওয়েবসাইট তৈরির নকশা প্রভৃতি। নিজের ওয়েবসাইটি গুগল এ্যাডসেন্সের এর সাথে লিংক করিয়ে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করা যায়।
Google বিজ্ঞাপন যখন সাইটে দেখানো শুরু হবে এবং তাতে ক্লিক পড়বে, তখন আয় আসতে শুরু করবে। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা দর্শক যত বেশি হবে, আয়ের পরিমাণ তত বাড়বে।
অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে
ব্লগিং করে Online থেকে আয় :
তথ্য সমৃদ্ধ একটি ব্লগ হচ্ছে এক ধরনের ওয়েবসাইট যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত লেখালেখি করা হয়ে থকে। এতে করে তথ্যগুলি জানার জন্য অনেকেই সাইটে আসতে থাকবে.
ধীরে ধীরে ব্লগ জনপ্রিয় হয়ে উঠলে সেই ব্লগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন বসিয়ে ব্লগ থেকে আয় করা যায়। এজন্য ব্লগে প্রচুর পরিমান ভিজিটর আসতে হবে। ভিজিটর যত বেশি বিজ্ঞাপনের মুল্য তত বেশি।
Youtube থেকে আয় :
নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলে বিভিন্ন ভিডিও তৈরী করে এই ইউটিউব চ্যানেলে তাহা আপলোড করে দিয়ে সেখান থেকে আয় করা যায়।
যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি, সেই বিষয়ে ভিডিও না রাখলে মানুষ তা দেখবে না। ভিডিও না দেখলে আয় হবে না। চ্যানেলের সাবসক্রাইবার ও ভিডিও দেখার সময় বাড়লে আয়ের সম্ভাবনা বাড়বে। প্রতি হাজার ভিউয়ের হিসাবে গুগল থেকে অর্থ পাওয়া যাবে।
তবে এই ক্ষেত্র ইউটিউব তাদের কিছু শর্ত দিয়েছে। চ্যানেলে কমপক্ষে ১০,০০০ ভিউ হতে হবে, চ্যানেলে অবশ্যই ৪,০০০ ঘণ্টা Watch-Time থাকতে হবে, চ্যানেলে কমপক্ষে ১,০০০ Subscribers থাকতে হবে। শর্তগুলি অবশ্যই চ্যানেলটি খোলার ১ বছরের মধ্যে পূরণ করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় ( PTC SITE ) :
একটা নির্দিষ্ট সময়ে কাজের বিনিময়ে যে ইনকাম করা যায় তা হলো ফ্রিল্যান্সিং। অর্থাৎ আয় হবে সময় হিসাবে। এখানে বায়ার কাজ করিয়ে নিবে সময় হিসেবে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেমন: http://upwork.com, http://guru.com, http://freelancer.com, http://fiverr.com, http://peopleperhour.com ইত্যাদি। এইসব মার্কেট প্লেসে নিজের একটা একাউন্ট করে কাজ করতে হয়। তবে অবশ্যই সেই কাজের বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে প্রচুর।
এই মার্কেট প্লেস গুলোতে অনেক অনেক কাজের প্লাটফর্ম রয়েছে, যেমন ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, লেগো ডিজাইন, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, ডাটা এন্ট্রি, কন্টেন্ট রাইটিং ইত্যাদি।
পিটিসি সাইট থেকে আয় :
কম্পিউটার, মোবাইল অথবা টেব যে কোন ডিভাইজ দিয়ে ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই পিটিসি সাইট থেকে আয় করা যায়। আমরা সবাই জানি যে পি টি ছি সাইট থেকে অনেক সহজে টাকা ইনকাম করা যায়। আসুন দেখি কেমন করে করা যায়।
মনে করি আমরা ১ টা সাইট থেকে ২০ সেন্ট ইনকাম করি তাহলে যদি আমারা ভাল দেখে ৫-১০ টা সাইট এ কাজ করি তাহলে আমাদের ইনকাম হবে ১-২ ডলার।
আর আমরা তো জানি পি,টি,ছি সাইট এ আস্তে আস্তে ইনকাম বাড়তে থাকে ১ মাস এই ভাবে কাজ করলে দেখা যাবে প্রতিদিন ৫-৭ ডলার করে ইনকাম করা যায়। এই জন্য সঠিক সাইট খুজে বের করতে হবে।
ঘরে বসে হাতে কন্টেন্ট লিখে আয়:
কন্টেন্ট বা আর্টিকেল লিখেও আয় করা যায়। যদি বাংলায় কন্টেন লেখা হয় তাহলে বাংলা কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা কোয়ালিটি কন্টেন্ট কিনে থাকে। ভালো কন্টেন্ট লিখতে পারলে, কন্টেন্টগুলো তাদের ওয়েবসাইটে বিক্রি করা যায়।
কন্টেন্টের কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে আয় করা সম্ভব। এছাড়াও যদি ইংরেজিতে ভালো কন্টেন্ট লেখা যায় তাহলে অনেক টাকা আয় করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কন্টেন্ট একদম ইউনিক হতে হবে।
অনলাইনে আয় করুন নিউজ পড়ে , কমেন্ট করে , লাইক দিয়ে টাকা নিন বিকাশে (170,298)
ডিজাইনিং করে আয়:
যদি ভালো গ্রাফিক্স, লেগো, ওয়েব ডিজাইন করা যায় তাহলে ওই ডিজাইন থেকেও আয় করা যাবে। ডিজাইন গুলো http://99designs.com এ বিক্রি করা যায়। তাছাড়া বর্তমানে ওয়েবসাইড ডিজাইন করেও বিক্রি করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসগুলোতে এখন ডিজাইনারদের অনেক মুল্য।
ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় ( Facebook Page থেকে আয় : )
যদি একটি ফেসবুক পেইজ থাকে এবং প্রতি পোষ্টে যদি অনেক লাইক কমেন্ট আসে বা যদি অনেক লাইকের পেইজ থাকে বা অনেক মেমবারের গুরুপ থাকে তাহলে সেখানে এ্যাডভার্টাইজ করে আয় করা যায়। তাছাড়াও লোকাল পন্য বিক্রির জন্য পোষ্ট করলে হয়তো সেখান থেকে কেউ কেউ পন্য কিনেও নিতে পারে।
গ্রাফিকস থেকে আয় :
অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন একটি ভালো উপায়। যাঁরা এ কাজে দক্ষ তাঁরা বিভিন্ন ডিজাইন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাদের আয় আসে। তাদের তৈরি একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়।
অর্থাৎ, একটি ভালো নকশা থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। এ ছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিক ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা রয়েছে।
এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় :
এই পদ্ধতিতে আয়ের ক্ষেত্রেও নিজের ওয়েবপেইজ বা ব্লগ প্রয়োজন। যখন ওয়েবসাইট বা ব্লগ চালু হবে, তখন এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক তাতে যুক্ত করতে হবে। যখন আমার ওয়েবসাইট থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা কোনো দর্শক কিনবেন, তখনই আমার আয় আসতে শুরু করবে।
ডেটা এন্ট্রি থেকে আয়:
অনলাইনে সহজ কাজগুলোর একটি হচ্ছে ডেটা এন্ট্রি। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আয় খুব কম। তবে এ ধরনের কাজ এখন খুব কম পাওয়া যায়। যাঁদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও দ্রুতগতির টাইপিং দক্ষতা আছে, তাঁরা এ ধরনের কাজ করতে পারবেন।
অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের কাজ রয়েছে। তবে যাঁদের কোনো কাজে দক্ষতা থাকে, তাঁরা সহজে কাজ পান এবং দ্রুত আয় বাড়াতে পারেন।
Google Adsense থেকে আয় :
গুগল এ্যাডসেন্স হচ্ছে এমন একটি এ্যাডর্ভাটাইজিং প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে গুগল ব্লগ, ওয়েবাসইট, ইউটিউব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে। ভিজিটর যখন উক্ত বিজ্ঞাপনগুলিতে ক্লিক করে, তখন তার বিনিময়ে অর্থ প্রদান করে।
এমনকি, ক্লিক না করলেও ইমপ্রেশন অর্থাৎ বিজ্ঞাপনের মাউজ কার্সরের আসা-যাওয়া থেকেও গুগল অর্থ প্রদান করে থাকে।
ইমপ্রেশন থেকে আসা ইনকাম সাধারনত ক্লিক থেকে আসা ইনকামের চেয়ে কম হয়। এই বিজ্ঞাপনগুলি আসে গুগলের এ্যাডওয়ার্ড প্রোগ্রাম থেকে যেখানে বিভিন্ন নামী দামী কোম্পানী নিজেদের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
মনেকরি, আলী বাবা গুগলের মাধ্যমে এ্যাড দিচ্ছে আর গুগল অন্য একজনের ওয়েবসাইটে এ্যাড প্রদর্শন করছে। এক্ষেত্রে আলী বাবা হচ্ছে অ্যাডভার্টাইজার আর ওয়েবসাইটের মালিক হচ্ছেন পাবলিশার।
google adsense কি?কিভাবে আয় করব?কত টাকা পাব?এডসেন্স a to z বিসতারিত all part
এখন গুগল অ্যাডভার্টাইজার থেকে প্রতি ক্লিকের বিপরীতে যে অর্থ পায়, তা থেকে পাবলিশারকে ৬৮ পার্সেন্ট দিয়ে দেয়, বাকীটা গুগল রাখে।
গুগল এ্যাড মব থেকে আয় ( Google Admob ) :
মানুষের প্রয়োজনীয় বা মজার কিছু বিষয় নিয়ে প্রাথমিকভাবে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে সেটিকে গুগল প্লে ষ্টোরে পাবলিশ করা যায়। অ্যাপটি কতবার ডাউনলোড হচ্ছে তার উপর ইনকাম অনেকটা নির্ভরশীল।
অ্যাপ কতবার ডাউনলোড হচ্ছে তার জন্য গুগল কোন টাকা দেবে না, কিন্তু অ্যাপে যদি গুগল এ্যাড মব ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাহলে ডাউনলোডকারী অ্যাপটি ব্যবহার করার সময়ে তাকে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করানোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যাবে।
জরিপ বা সার্ভে থেকে আয় :
কোন প্রতিষ্ঠানের বা ব্রান্ডের পণ্যের উপর ৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় নিয়ে সার্ভে বা জরিপ করে অর্থ উপার্জন করা যায়। সার্ভে করার জন্য পন্য বা সেবা সম্পর্কে মতামত দিতে হবে। সার্ভে বা জরিপের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রশ্ন থেকে পছন্দ অনুযায়ী উত্তর নির্বাচন করতে হবে।
এছাড়া এই যায়গায় অতিরিক্ত কিছুই লিখতে হবেনা। জরিপের দৈর্ঘ্য, প্রোফাইল এবং যে দেশে বসবাস তার উপর নির্ভর করে। প্রতিটি সার্ভের জন্য $ ১ থেকে $ ২০ ইনকাম করতে পারেন।
ভার্চুয়াল এ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে আয়:
একজন ভার্চুয়াল সহকারী একজন ব্যক্তিগত সহকারীর মতোই, পার্থক্য শুধু তিনি শারীরিকভাবে উপস্থিত না থেকেও অনলাইনে সহকারী হিসাবে কাজ করেন।
ভার্চুয়াল সহকারী হিসাবে যে কাজগুলো করতে হবে তার ভিতর অন্যতম হল ওয়েবসাইট মনিটরিং করা, পরামর্শদান, কন্টেন্ট লেখা, পুরুফরিডিং, পাবলিশিং, মার্কেটিং, কোডিং, ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব রিসার্চ, স্যোসাল মিডিয়া মার্কেটিং সহ আরও অনেক ধরনের কাজ।
ভার্চুয়াল এ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করার জন্য অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেমন: Zirtual, MyTasker, uAssistMe, HireMyMom, 123Employee। এগুলোতে সাইন আপ করে অনলাইন ক্যারিয়ার শুরু করা যায়।
SEO থেকে আয় :
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও (SEO) হল অনলাইনে সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি কাজ। এসইওতে কাজ পারলে অনলাইনে টাকা উপার্জন করার বিষয়ে চিন্তা করতে হয় না।
অনলাইনে হাজার হাজার ওয়েবসাইট এবং কোম্পানি আছে যারা এসইওতে প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার খরচ করে যাতে তাদের ওয়েবসাইটের কীওয়ার্ড গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনের সার্চে প্রথমে দেখায়।
ফাইভার থেকে আয় :
Fiverr এ সারা বিশ্বের অনেক বায়াররা বিভিন্ন ধরনের কাজ দিয়ে থাকে। এখানে অনুবাদের কাজ থেকে শুরু করে গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও এবং অন্যান্য কাজ পাওয়া যায়। Fiverr এমন একটি ওয়েব প্লাটফর্ম যেখানে ডিজিটাল কন্টেন্ট বিক্রি করে ইনকাম করা যায়।
যে কোন একটি গিগস বা ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করে Fiverr এ দিয়ে মানুষকে কন্টেন্ট সম্পর্কে জানালে সেটি বিক্রি হয়। Fiverr এ যে কোন কন্টেন বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ৫ ডলারে।
১টি ডিজিটাল কন্টেন্ট বা সেবা ডেভেলপ করে যদি প্রতিদিন ১বারও বিক্রি হয় তাহলে মাসে সর্বনিম্ন ১৫০ ডলার ইনকাম করা যায়।
অনলাইনে ছবি বিক্রি থেকে আয় :
ভাল ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হলে নিজের তোলা আকর্ষনীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করা যায়। অনেক ডিজাইনার আছে যারা অনলাইনে তাদের প্রজেক্টের জন্যে ভাল মানের ছবি খুঁজে থাকেন। তাদের নিকট এই সমস্ত ছবিগুলো বিক্রি করা যায়।
আবার আসেপাসের প্রকৃতি, স্থান, মানুষ, জিনিস, খাবারসহ যে কোন কিছুর ভাল ছবি তুলে সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করা যায়। শাট্টারস্টক, ফোটোলিয়া, আইস্টকফটো, ফটোবিককেটের মত বড় বড় সাইটগুলি রয়েছে যেখানে নিজের তোলা ফটো জমা দেওয়া যায়। যখনই কোনও গ্রাহক এই ছবি কিনবে, তখন ছবির নির্দিষ্ট মূল্য বাবদ অর্থ পাওয়া যাবে।
স্যোসাল মিডিয়া থেকে আয় :
স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিমাসে বাড়তি ইনকাম করা যায়। যেমন: ফেসবুক থেকে ইনকাম, টুইটার থেকে ইনকাম, গুগল প্লাস+ থেকে ইনকাম, ইন্সটাগ্রাম থেকে ইনকাম, লিঙ্কডিন থেকে ইনকাম করা যায়।
যদি ফেসবুকে ৫০০০ এর উপর ফ্যান সহ কোন ফ্যানপেজ থাকে অথবা অন্য স্যোসাল মিডিয়া যেমন টুইটার, গুগল প্লাস, ইন্সটাগ্রাম বা লিঙ্কডিনে নির্দিষ্ট পরিমানে ফলোয়ার থাকে তবে বিভিন্ন সাইট বা ব্র্যান্ডের প্রোমোশন করে ইনকাম করা যায়।
ই-কমার্স থেকে আয় :
- E-Commerce ওয়েবসাইট থেকে ই-কমার্স এর মাধ্যমেও অনেক টাকা আয় করা যায়। আমরা জানি, E-Commerce এর পুরো অর্থ হল Electronics Commerce বর্তমান যুগ যেহেতু একটি ডিজিটাল যুগ তাই এখন E-Commerce এর একটি ওয়েবসাইট থেকে অনেক টাকা সহজেই আয় করা যায়। এটি জনপ্রিয় হওয়ার কারন হল এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই সময় ও শ্রম বেঁচে যায়।
লিংক শর্টকাট থেকে আয়:
কোন সাইটের লিংক ছোট করে ফেসবুক, টুইটার সহ যেকোন জায়গায় শেয়ার করতে হবে। কেউ যদি শেয়ার করা এই লিংকে ক্লিক করে তাহলে টাকা পাওয়া যাবে।
উপরোক্ত যেকোনো পদ্ধতির মাধমে অনলাইনে আয় করা যায়।