মধু খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং মধুর উপকারিতা ও অপকারিতা A to Z
মধু একটি জনপ্রিয় সব্দ ৷ মধুর নাম সুনেন নাই এমন কেও আছে বলে আমার মনে হয় না ৷
আর মধু আমাদের যৌবন ও শারিলিক সুস্ততা ধরে রাখা সহ হাজারও রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যাবহার করা হয় ৷
তো আজকে আমরা মধুর A to Z বা সকল বিষয় জানার চেষ্টা করব ৷
যেমন :
- মধু কী ?
- মধু কত প্রকার
- খাঁটি মধু চিনবেন যেভাবে
- মধু উপকারিতা ও অপকারিতা
- সহবাসে মধুর কার্যকারিতা…
- মধু খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও সময়
- সকল রোগের জন্য মধুর কার্যকারিতা
- আলকুরআন ও ইসলামে মধু সম্পর্কে বার্তা
NOTE : আর অনেক কিছু জানব আজ মধুর বিষয় ৷
তাই অনুরোদ রইল পুরা কন্টেনটি পড়ার এবং আপনির বন্ধুদের সেয়ার করে জানানোর জন্য ৷
মধু বলতে আসলে কি বুঝায় ?
মধু বা প্রাকৃতিক এনার্জি বুষ্টার আমাদের শরীলের জন্য অনেক বেশি উপকারি ৷
মধু বা ইংরেজিতে ( Honey – হানি ) হচছে এক প্রকার স্বুসাদু মিষ্টি ও ঘন তরল পদার্থ ৷
যা হাজার হাজার মৌমাছি বিভিন্ন ফুল থেকে নির্যাস বা পুস্পারস হতে ফুলের রেনু ও মিষ্টি রস সংগ্রহ করে তাদের পাকস্তলিতে রাখে
তারপর সেখানে মৌমাছির মুখ নিঃসৃত লালা মিশ্রিত হয়ে জটিল বিক্রিয়ার মাধ্যমে
মধু তৈরি হয় এবং পরে মৌমাছি মৌচাকের ভিতর তা জমা করে রাখে ৷
পরে জমাকৃত ফুলের এই নেকটার বা নির্যাস প্রাকৃতিক ভাবেই মৌমাছি বিশেষ প্রক্রিয়ায় নাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মধুতে রূপান্তর করে ,
কোষ বদ্ধ বা আঠালো অবস্তাই তাদের মৌচাকে জমা থাকে । পরে মানুষ এই চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে ৷
অথএব , মধুর সঙ্গা দিতে গেলে : মধু হচছে এমন একটি ঘন মিষ্টি জাতীয় পদার্থ যা মৌমাছিরা বিভীন্ন ফুলের পুস্পারস অথবা
গাছ-পালার নির্গত রস থেকে সংগ্রহ করে তাদের মৌচাকে সংগ্রহ করে এবং
মহান আল্লার বেধে দেওয়া প্রকৃতিক নিয়মে তারা কিছু উপাদান যোগ করে মধুতে রুপান্তর করে মৌচাকে সংরক্ষণ করে । আর টাকেই আমরা মধু বলে থাকি ৷
মধুতে যেসকল রাসায়নিক উপাদিন থাকে
মধুতে প্রায় ৪৫ ধরনের খাদ্য উপাদান বিদ্যমান থাকে ৷
নিচে একটি চার্ট এর মাধ্যমে মধুর উপাদান গূলো তুলেধরা হল :-
মধু পুষ্টি সম্পর্কে তথ্য চার্ট
মধুতে প্রতি পরিমাণ
|
Calories (kcal) 304 |
লিপিড |
০ g |
সম্পৃক্ত চর্বি |
০ g |
কোলেস্টেরল |
০ g |
সোডিয়াম |
০ g |
পটাশিয়াম |
৫২ mg |
শর্করা | ৮২ g |
খাদ্য আঁশ | ০.২ g |
প্রোটিন | ০.৩ g |
ভিটামিন সি | ০.৫ mg |
ক্যালসিয়াম | ৬ m |
লোহা | ০.৪ mg | ভিটামিন ডি | ০ IU |
পাইরিডক্সিন | ০ mg | সায়ানোকোবালেমিন | ০ µg |
ম্যাগনেসিয়াম | ২ mg |
পবিত্র কোরাআন ও ইসলামে মধু সম্পর্কে যা বলা হয়েছে…
মধু মহান আল্লাহর -প্রদত্ত এক অপূর্ব সুন্দর খাদ্য নিয়ামত । মানুষের শারিলীক স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে এবং যাবতীয় রোগ বালাই নিরাময় এর ক্ষেত্রে মধুর সেবনের গূরুত্ব এক কথায় অপরিসীম।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্নাদ (সা.) মধুকে ‘খাইরুদ্দাওয়া’ বা মহৌষধ বলে গীয়েছেন । চিকিৎসা বিঙ্গানে , ইউনানি ও আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে মধুকে মহৌষধ বলা হয়ে থাকে । প্রিয় নবী মুহাম্নাদ (সা.) আমাদের পবিত্র কোরআন ও মধু মাধ্যমে সকল রোগের প্রতিকার নিতে বলেছেন ৷
আরবি ভাষায় মৌমাছিকে নাহল বলা হয়েছে ৷ কোরআননে সূরা নাহল এর আয়াত ৬৯ তে বলা হয়েছে যে ,
মধুপোকা বা মৌমাছি পেট থেকে বিভিন্ন রঙ্গের পানিও বের হয় ৷ যাতে মানুষেয় জন্য রয়েছে বিভিন্ন রোগের প্রতিকার ৷ মধু একই সাথে পানিও খাদ্য এবং ওষধ ৷ মধুকে একসাথে বলা হয় বিররে এলাহি এবং তিব্বে নব্বী ৷
সূরা মুহাম্নাদ – ১৫ আয়াতে মহান আল্লাহতালা এরশাদ করেছেন যে ,
مَثَلُ الْجَنَّةِ الَّتِي وُعِدَ الْمُتَّقُونَ ۖ فِيهَا أَنْهَارٌ مِنْ مَاءٍ غَيْرِ آسِنٍ وَأَنْهَارٌ مِنْ لَبَنٍ لَمْ يَتَغَيَّرْ طَعْمُهُ وَأَنْهَارٌ مِنْ خَمْرٍ
لَذَّةٍ لِلشَّارِبِينَ وَأَنْهَارٌ مِنْ عَسَلٍ مُصَفًّى ۖ وَلَهُمْ فِيهَا مِنْ كُلِّ الثَّمَرَ
اتِ وَمَغْفِرَةٌ مِنْ رَبِّهِمْ ۖ كَمَنْ هُوَ خَالِدٌ فِي النَّارِ وَسُقُوا مَاءً حَمِيمًا فَقَطَّعَ أَمْعَاءَهُمْ
জান্নাতে জান্নাতিদের জন্য থাকবে স্বচ্ছ সুমিষ্ট মধুর নহর বা নদী ৷
অথএব : যেহেতু মহান আল্লাহ এবং আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্নাদ ( সা : )
আলকুরআন ও মধু দিয়ে সকল রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যাবহার করতে বলেছে তাই নিসন্ধে আমরা এটি ব্যাবহার করতে পারি ৷
মধুর উপকারিতা ও অপকারিতা
আমরা ইতি পূর্বে জেনেছি যে মধু কী এবং এর গূরুত্ব কতটা বেশি ৷ তো একন আমরা যানার চেষ্টা করব মধুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে –
চলুন আগে জেনে নেয় মধুর উপকারিতা সম্পর্কে
এক কথাই বলতে গেলে মধুর গুনাগুন অনেক ৷
মধু খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়, ফলে শরীরল হয়ে ওঠে সুস্থ, সতেজ ও কর্মক্ষম উপযোগি ।
লক্ষ লক্ষ মৌমাছির অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা এই মধু পাই তাদের মৌউচাক থেকে ৷
মধু আমাদের শরীলে শক্তি ও তাপ যোগান দিয়ে আমাদের শরীলকে সুস্তসবল রাখে ৷মধু আমাদের হজম শক্তি বাড়ায় ৷
মধুতে ডেক্সট্রিন থাকে যা আমাদের শরীলের রক্তের প্রবেস করে এবং ক্রিয়া করে ৷
মধুতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ,যা আমাদের দেহকে প্রায় সকল ধরনের আঘাত রোগব্যাধির হাত থেকে রক্ষা করে।
মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ক্যান্সার হওয়া থেকে প্রতিরোধ করে এবং আমাদের দেহর কোষ গুলোকে ফ্রি রেডিক্যালের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
- ফুসফুসের যাবতীয় রোগ
- ঘুম না হওয়া
- যৌন দুর্বলতা
- মধু কোষ্টকিঠিন্ন
- রক্তশূন্যতা
- পানিশূন্যতা
- দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে
- রূপচচায়
- ওজন কমাতে
- হজম শক্তি বাড়াতে
- ইত্যাদি মধু হাজার ও রোগের কাজ করে ৷
রোগ -ব্যাধি নিরাময়ে মধুর ব্যাবহার
দেখেন মধু আমাদের প্রায় সকল প্রকার রোগের জন্য কখনও একক ভাবে আবার কখনও পরক্ষ ভাবে ব্যাবহার হয়ে আসছে ৷
যে হেতু ( সা ) নিজেই বলেছেন কোরআন ও মধুর মাধ্যমে সকল চিকিস্যা নিতে ৷
তাই মধুর উপকারিতা বলার উপেক্ষা রাখে না ৷
- চিকিৎসক ইবনে সিনা তাঁর বিখ্যাত গ্রন্হে –
Medical Test book The canon of medicine
মধুকে বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যাবহার করতে বলেছেন ৷
সহবাসে মধুর উপকারিতা
- যৌন দুর্বলতা : মধু সামি-স্ত্রি এর সহবাসের ক্ষেতে গূরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ৷যৌবন ধরে রাখতে মধুর তুলনা নাই ৷
যাদেন যোন দুরর্বলতা আছে বা রোগ আছে অথবা আপনার সঙ্গিনির কাছে নিজেকে সিংহ পুরুশ হিসাবে গড়ে তুলতে চান তারা মধু খান ৷
মধু আপনার পাওয়ার বাড়িয়ে দিবে এবং আপনি আপনার সঙ্গির সাথে একটি ভাল জীবন যাপন করতে পারবেন ৷
তাই সহবাসের শক্তি যুগাতে মধু সেবন করুন ৷তাইত পুরুষের যৌন দুরবলতা দূর করার জন্য বিশ্ববিখ্যাত মধুবিজ্ঞানীরা প্রতিদিন পর্যাপ্ত মধুই সেবনই যথেষ্ট মনে করেছেন ।
রেগুলার মধু খেলে আপনার যৌন অঙ্গ শক্তিশালি ও ধাতু দুর্বলতা পালিয়ে যাবে ৷
ফলে আপনি আপনার সঙ্গিনি অথবা গালফ্রেন্ড যাই বলেন তাদের কাছে কখনও লজ্জিত হবেন না ৷
- ডাইবেটিস এ মধু : যাদে ডাইবেটিস রোগ আছে তারা চিনির পরিবর্তে মধু সেবন করুন ৷
কারন এতে চিনির থেকে অনেক কম ডাইবেটিস বৃদ্ধি করে ৷
তাই মধু সংগ্র করুন এবং নিয়মিত সেবন করুন আর ডাইবেটিস থেকে রক্ষা পান ৷ - হৃদরোগে মধু : মধু আমাদের হৃদরোগ থেকে বাঁচায় ।
মধু খেলে আমাদের রক্তনালিতে রক্ত সঞ্চালনে সহজ করে দেয় সাথে হৃদপেশির কার্যক্রম বৃদ্ধি করে দেয় ।
এক কথায় মধু খেলে আমাদের শরীলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় । - দাঁত : মধু আমাদের দাঁতর গঠন শক্তিশালী করে তুলে ।
- দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি : মধুখেলে আমাদের চোখের ওর ব্রেনের দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বাড়িয়ে দেয় ৷
- রক্তে হিমোগ্লাবিনের: মধু আমাদের রক্তের হিমোগ্লাবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেয় এবং রক্তবর্ধক হয়।
তাই আমাদের মধ্য যাদের রক্তস্বল্পতায় আছে বা রক্তস্বল্পতায় ভোগে তাদের জন্য মধু সেবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে । - পাকস্থলীর: মধু আন্ত্রিক রোগির জন্য খুব কাজ করে । মধু মানব দেহের পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগের উপকার ও হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় ৷
- আলসার ও গ্যাস্ট্রিক: মধু আমাদের গ্যাস্ট্রিক এবং আলসার এর জন্য গূরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে ।
তাই যাদের আলসার ও গ্যাস্ট্রিক আছে তারা নিয়মিত মধু পান করুন ৷ - চুল ও ত্বক এ মধু : মধুতে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ থাকে ফলে আমাদের স্নায়ু ও মস্তিষ্কের কলা সুদৃঢ় করে তুলে ।
মধুতে স্টার্চ ডাইজেস্টি এনজাইমস ও মিনারেলস থাকে যা আমাদের মাথার চুল শরীলের ত্বক এর অবস্তা ঠিক রাখতে খুব গূরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে । - শিশুদের ক্ষেত্রে মধু : ছোট সুনামনিদের দৈহিক গঠন ও ওজন বৃদ্ধিতে মধু খুব গূরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে ।
বাচ্চাদের সকালবেলা এক গিলাস দুধের সাথে এক চামচ খাটি মধু সেবন করালে তাদের এনার্জি বেড়ে যাই এবং তাদের ব্রেন পাওয়ার বেড়ে যায় ৷
ফলে স্কুল টাইম তাদের ভাল কাটে এবং পড়া-লেখা ভাল হয় বা মনে থাকে ৷
তাই আপনার বাচ্ছাদের জন্য মধু সংগ্রহ করুন ৷
ছোট সুনামনিদের দৈহিক গঠন ও ওজন বৃদ্ধিতে মধু খুব গূরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে ।
বাচ্চাদের সকালবেলা এক গিলাস দুধের সাথে এক চামচ খাটি মধু সেবন করালে তাদের এনার্জি বেড়ে যাই এবং তাদের ব্রেন পাওয়ার বেড়ে যায় ৷
ফলে স্কুল টাইম তাদের ভাল কাটে এবং পড়া-লেখা ভাল হয় বা মনে থাকে ৷
তাই আপনার বাচ্ছাদের জন্য মধু সংগ্রহ করুন ৷
এভাবে মধুর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা ৷
তাই নিচে সংক্ষেপে কোন কোন রোগে বা ক্ষেত্রে মধু কাজ করে তা উল্লেখ করে দিলাম —
মধু আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য , ক্ষুধা নিবারন , হজমশক্তি বৃদ্ধি ,
মুখে রুচি বৃদ্ধি , শরীলের রক্ত পরিশোধন ,
শরীর ও ফুসফুসকে শক্তিশালী করা , জিহ্বার জড়তা ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করা ,বাতের ব্যথা ,
মাথাব্যথা দূর করা সহ আর অনেক রোগের কাজ করে এই শক্তিশালি মধু ৷
মধুর উপকারিতা ও ব্যাবহার
মধু কতটুকু খাবেন ? মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময়
- মধু খাওয়ার কোন সঠিক সময় বা তেমন কোন নিয়ম নেয় , তবে
ভোরবেলা খালি পেটে মধু খাওয়ার সব থেকে উপযুক্ত সময় ৷
মধু গরম পানি বা গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া একদম ঠিক না ৷ - তাই পানি বা দুধ এর সাথে মধু খেতে হলে আগে ঠান্ডা করে নিন ৷
পুরাতন মধু নতুন মধুর থেকে বেশি কার্যকারি ৷ লেবুর রসএর সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন ৷
ভাল বা ভারি খাবার যেমন মাংশ ডিম দয় মাছ ইত্যাদি খাওয়ার আগে এক চামচ মদু খেতে পারেন ৷
এতে হজম শক্তি বাড়বে ৷ - যৌন দূরবলতা দুর করতে প্রতি দিন কাচা ছোলার ভিজিয়ে এর সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন ৷
পাউরুটির সাথে জেলির পরিবর্তে মধু মেখে খেতে পারেন ৷ চায়ের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন ৷
এছাড়া কালোজিরার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন ৷ রান্নাই কখনও সরাসরি মধু ব্যাবহার করা যাবে না ৷
নোট: মধু কখনও 7up এর মত ভেবে বা বেশি খাবেন না ৷ এতে হিতে বিপরিত হতে পারে ৷
এক চামুচ থেকে দুই চামুচ খাবেন এক সময় ৷
মধু কখনও 42 ডিগ্রি উপরের তাপমাত্রায় গরম কিছুর সাথে মিশিয়ে খাবেন না ৷
কারন এতে মধু বিশাক্ত হয়ে যায় ৷ তাই চেষ্টা করুন ঠান্ডা পানি দুধ ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে খেতে ৷
মধু বেশি খেলে কি হয়
মধু কখনও অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক না ৷ বেশি মধু সেবন করলে আপনার নানান সমস্যা দেখা দিবে ৷
যেমন আপনার অ্যালার্জি সমস্যা , হার্টবিটের সমস্যা, চোখে ঝাপশা দেখবেন, চোখে ঘুম-ঘুম ভাব আসবে , ডায়রিয়া, খুবক্লান্তিভাব, অতিরিক্ত জ্বর ইত্যাদি দেখা দিবে।
তাই এক দিনে সর্বচ্ছ ২৫ গ্রামের বেশি মধু সেবন করবেন না ৷
কারণ মধুতে থাকে প্রায় ৫৩% ফ্রুকটোজ যা আমাদের শরীলের জন্য ক্ষতিকারক।
তবে খাটি মধু পরিমাণ মত খেলে আপনি অবশ্যই উপকারিতা পাবেন।
মধু কত প্রকার ও কি কি ? বাংলাদেশে কত প্রকার মধু পাওয়া যায়
সময় বা ঝতু ভেদে আমাদের বাংলাদেশে দেশে অনেক ধরনের মধু দেখা যায়,
যেগুলা হলো :
- সুন্দরবনের মধু
- সরিষা মধু
- লিচু ফুলের মধু
- কালিজিরার মধু ।
তবে সাধারনত মধু ১০ প্রকার হয়ে থাকে ।
নিচে সে গুলোর নাম উল্লেখ করা হলোঃ-
১. ক্লোভার মধু
২. ফুলের মধু
৩. বাবলা মধু
৪. আলফালফা মধু
৫. বকউইট মধু
৬. ক্রিমযুক্ত মধু
৭. মানুকা হানি
৯. ইউক্যালিপটাস মধু
১০.কমলা ফুলের মধু
খাঁটি মধু চেনার সঠিক উপায়
মধুর অনেক সুনাম তো সুনলেন যানেন কি কিভাবে খাটি মধু বাছাই করবেন ৷
আসুন জেনে নেয় কিভাবে আমরা সহজেই খাঁটি মধু চিনে নিব ৷
মধু পরিক্ষা বা খাঁটি মধু চেনার অনেক উপায় রয়েছে ৷
নিচে কিছু উল্লেখ করা হল —
- আপনি এক গ্লাস পানিতে ১ চামচ মধু ছেড়ে দিন এবং গ্লাসটি ধীরে ধীরে ঝাকুনি দিন । যদি মধু পানির সাথে মিশে যায় তাহলে বুঝে নিবেন এটি খাঁটি মধু নয় ৷ আর মধু যদি গ্লাসের তলানিতে জমা হয় তবে বুঝবেন এটি খাঁটি মধু। মনে রাখবেন মধু পানির চেয়ে চার পাঁচ গুন ভারে যার কারনে সহজে পানির সাথে মধু মিশে যায় না ৷
- আসল-নকল বা অরজিনাল মধু নির্ণয় করতে আপনি এক টুকরো টিসু অথবা কাগজে অল্প পরিমান মধু ফেলুন এবং যেখানে পিঁপড়ের দল আছে সেখানে কাগজ টুকরা রেখে আসেন । কিছুক্ষন পর চেক করুন দেখুন যে মধুতে পিঁপড়ে ধরছে কি না ৷ যদি পিঁপড়ে ধরে তাহলে বুঝে নেবেন মধুতে অবশ্যই ভেজাল আছে ।
- আপনি একটি পরিস্কার সাদা কাপড়ে অল্প একটু মধু মাখান এবং কিপড়টি শুকিয়ে নিন। কিছুক্ষন পর কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন এবং দেখুন যে কাপড়ে মধুর দাগ লেগে আছে কি না ৷ দাগ লেগে থাকলে বুঝবেন যে মধু নকল। আর যদি সাদা কাপড়ে কোন দাগ না থাকে তাহলে খাঁটি মধু।
- আর ভাল করে জানতে চাইলে সময় নিয়ে মধু আপনার ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। খাঁটি মধু হলে এটা জমে যাবে না । আর মধু জমে গেলে বা নিচে জমাট তলানি পড়লে বুঝবেন এটি ভেজাল আছে ।
খাঁটি মধু কত দিন বা বছর ভাল থাকে
প্রকৃতিক কারনেই মধু অনেক দিন ভাল থাকে ৷
ভাল বায়ুশূণ্য পাত্রে মধু রাখলে সেটি অনেক বছর পর্যন্ত ভাল থাকে ৷
পরিশেষে বলতে পারি যে ,মধু মহান আল্লাহর এক অপূর্ব নিয়ামত ৷
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্নাদ ( সা ) মধু খেতে বলেছেন এবং মহান আল্লাহ ও মধুর গুনাগুন উল্লেখ করেছেন ৷
তাই আমরা মধর ব্যাবহার করব সঠিক ভাবে ৷
কন্টেনটি রেডি করতে অনেক সময় ও শ্রম ব্যায় হয়েছে ৷
তারপর ও কুথাও ভুল হলে ক্ষমা করবেন ৷
মানুষ মাত্রই ভুল তেমনি আমি ও ভূলের উদ্দে নই ৷ খুদা হাফেজ !
Nice