পরীক্ষায় ফেল করেছেন যারা তাদের করনীয় কেও এড়িয়ে যাবেন না
পরিক্ষায় ফেল করা ছাত্রছাত্রীর সংংখ্যা এবার অনেক বেশি।
এই ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের কেউ কেউ হতাশা, গ্লানি, ক্ষোভে আত্মহত্যা করছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে।
কৈশোরে-তারুণ্যে আত্মহত্যার একটি অন্যতম কারণ পরীক্ষায় ফেল করা।

পরীক্ষায় ফেল করেছে যারা
জীবন কখনোই কারও জন্য কেবলই কমেডি ছিল বা থাকবে তেমনটি নয়, মাঝেমধ্যে ট্র্যাজেডিও নেমে আসে।
জীবন হচ্ছে সফলতা-ব্যর্থতার পালাবদলের এক অবিরাম ধারা। কোনো একটি কাজে ব্যর্থ হওয়া মানে শেষ হয়ে যাওয়া নয়।
এ জন্য আত্মহত্যা করাটা বোকামি ছাড়া কিছু না ৷
যারা পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের মনে রাখা ভালো, পৃথিবীর অনেক সফল, বিখ্যাত ব্যক্তি রয়েছে , যারা কিনা পড়াশোনায় তেমন ভালো করতে পারেননি এবং ভাল ছাত্র ও ছিল না।
তো আসুন তাদের কয়একজন এর ছাত্র জীবন দেখে নেই তাহলে হইত আপনার কষ্ট কিছুটা হলেও লাগব হবে ৷
এদের মধ্যে রয়েছেন বিল গেটস ৷ সে কিনা বর্তমান বিশ্বের সব থেকে ধনি ব্যাক্তি ৷
বিল গেটসের ছাত্র জীবনের মজার কিছু কাহিনি এখানে তুলে ধরা হল !
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের জীবন কেটেছে নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ না করেই মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করা, বিশ্বের সেরা ধনী ব্যক্তির আসনে ওঠা এবং দানশীল হিসেবে খ্যাতিমান হয়েছেন তিনি।
কিন্তু একসময়ের কঠোর ব্যবস্থাপক, দুর্দান্ত চিন্তক বিল গেটস কিন্তু খাবার শেষে নিজের প্লেট নিজে ধোয়ার মধ্যেই আনন্দ খুঁজে পান।
তাঁর জীবনে এমন কিছু মজার ঘটনা আছে, যা আনন্দদায়ক। বিভিন্ন বই, ওয়েব ও তাঁর সহকর্মীদের সাক্ষাৎকারে এসব মজার কাহিনি উঠে এসেছে।
তাঁর জীবনের এই মজার ঘটনাগুলো নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিজনেস ইনসাইডার। সেখান থেকে কিছু ঘটনা তুলে ধরা হলো:
দুষ্টু বিল গেটস
কিশোর বিল গেটস কিন্তু একেবারেই শান্তশিষ্ট ছিলেন না। স্কুলে পড়ার সময় তাঁর পছন্দের সব মেয়েকে এক ক্লাসে আনার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি।
কিশোর বিল গেটসকে স্কুল কর্তৃপক্ষ কম্পিউটার ব্যবহার করে একটি ক্লাস শিডিউল তৈরি করে দিতে বলেছিল।
এই সুযোগ কাজে লাগান তিনি। তাঁর পছন্দের সব মেয়েকে দিয়ে নিজের ক্লাস ভরান।
হার্ভার্ডে পড়াশোনায় ফাঁকি বিল গেটস এর

বিল গেটস ছাত্র জীবন
হার্ভার্ডে পড়ার সময় যেসব কোর্সের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন, তার একটিতেও হাজিরা দেননি। এর পরিবর্তে তাঁর ভালো লাগত যেসব ক্লাস, সেখানে বসে যেতেন।
তবে তাঁর মুখস্থবিদ্যা ছিল দুর্দান্ত। ফলে চূড়ান্ত পরীক্ষায় তাঁকে আটকায় কে? ফলে ক্লাস না করেও সব সময় এ গ্রেড পাওয়া ছাত্র ছিলেন বিল গেটস।
পড়াশোনা থোড়াই কেয়ার করে বিল গেটস
হার্ভার্ডে পড়ার সময় ২০ বছর বয়সী বিল গেটস ‘প্যানকেক সর্টিং’ নামের দীর্ঘদিনের এক গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে ফেলেন।
তাঁর অধ্যাপক যখন ওই সমাধানটি একাডেমিক পেপারে প্রকাশের কথা বলেন, তখন বিল গেটস মাইক্রোসফট নিয়ে ঝুঁকে পড়েন।
হার্ভার্ডের সাবেক অধ্যাপক ক্রিস্টোস পাপাডিমিত্র লিখেছেন, ‘দুই বছর পর যখন বিল গেটসকে ডেকে বলা হলো, তাঁর সমাধানটি গণিতের সাময়িকীতে প্রকাশের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে।
তখন তাঁর আগ্রহ দেখা যায়নি। সে নিউ মেক্সিকোর আলবুকার্কে মাইক্রোপ্রসেসরের মতো যন্ত্রের জন্য কোড লিখতে ছোট একটি কোম্পানি চালাতে আগ্রহী।’
ক্রিস্টোট লিখেছেন, এ রকম মেধাবী একজন ছেলে গোল্লায় যাচ্ছে বলে ভেবেছিলেন তিনি।
বিল গেটস গাড়ি চালানোর জন্য জরিমানা
জোরে গাড়ি চালানোর জন্য একবার নয়—তিনবার, তা-ও একই পুলিশের কাছে দুইবার জরিমানা দেওয়ার নজির আছে বিল গেটসের।
পোরশে ৯১১ গাড়ি চালিয়ে আলবুকার্ক থেকে সিয়াটলে ফেরার সময় তাঁকে জরিমানা করা হয়। আলবুকার্ক মরুভূমিতে সাধারণত খুব জোরে গাড়ি চালাতেন গেটস।
একবার এক বন্ধুর কাছ থেকে পোরশে ৯২৮ মডেলের সুপারকার ধার করে এত জোরে চালিয়েছিলেন যে তা ভেঙে যায়। এক বছর লেগেছিল তা মেরামত করতে।
গাড়ির নম্বরপ্লেট মনে রাখতেন তিনি
মাইক্রোসফটের অফিসে কর্মীরা কখন আসছেন বা যাচ্ছেন, তা গাড়ির নম্বরপ্লেট দেখে মনে রাখতেন বিল গেটস।
টেলিগ্রাফকে এক সাক্ষাৎকারে বিল গেটস বলেছিলেন, ‘কর্মীরা কতটা কঠোর পরিশ্রম করছেন, তা যাচাই করতে আমার মান প্রয়োগের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হতো। আমি সবার নম্বরপ্লেট জানতাম।
পার্কিংয়ে প্লেট দেখলেই বুঝতে পারতাম কে কখন আসছেন বা যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠান বড় হয়ে যাওয়ার পর আমি এতে একটু শিথিল হই।’
গেমপোকা বিল গেটস
কম্পিউটারে গেম খেলা বিল গেটসের পছন্দ। কিন্তু তা একসময় নেশা হয়ে গিয়েছিল। মাইনসুইপার নামের গেমটির এতই ভক্ত ছিলেন যে তাঁর মনোযোগ ঠিক রাখতে গেমটি আনইনস্টল করতে হয়েছিল।
একবার যখন এক কর্মী কম্পিউটার স্ক্রিপ্ট লিখে বিল গেটসের গেমের স্কোরকে হারিয়ে দেন, তখন গেটস বলেন, যন্ত্র যদি মানুষের চেয়ে দ্রুতগতিতে কাজ করে, আমরা কীভাবে মর্যাদা রাখব?
ইকোনমি ক্লাসের যাত্রী বিল গেটস
১৯৯০ সাল পর্যন্ত বিল গেটস কোম্পানির সব লোক নিয়ে উড়োজাহাজের ইকোনমি ক্লাসে উঠেছেন। কোম্পানির রীতি ছিল সব কর্মীকে ইকোনমি ক্লাসে যেতে হবে।
বিল গেটসও তা মেনে চলতেন। গেটসের এক সহকর্মী লিখেছেন, ১৯৯০ সালে মাইক্রোসফটে যোগ দেওয়ার পর এক ব্যবসায়িক ভ্রমণে বিল গেটসের সঙ্গে তিনি ইকোনমি ক্লাসে গিয়েছিলেন। ওই সময় মাইক্রোসফট বড় প্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
বড় প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়েও কর্মীকে নিয়ে ইকোনমি ক্লাসে যেতে গেটসের মধ্যে কোনো অস্বস্তি দেখেননি তিনি।
তিনি মাঝখানের সিটে বসেছিলেন। সারা পথ বই পড়তে পড়তে গিয়েছিলেন গেটস। পরে অবশ্য বিল গেটস নিজস্ব জেট বিমান কিনেছেন।
কারিগরিতে ওস্তাদ বিল গেটস
বিল গেটসকে কারিগরি দিক থেকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয়। কোনো সফটওয়্যার তৈরির মাঝপথে তিনি বাগড়া দেন না।
কিন্তু এক মিনিটের জন্যও তাঁকে বোকা বানানো সম্ভব নয়। কারণ, তিনি একজন সত্যিকারের প্রোগ্রামার।
স্বেচ্ছাসেবী বিল গেটস
খাবারের পর, বিশেষ করে রাতের খাবারের পর নিজের প্লেট নিজে ধুয়ে ফেলেন তিনি। তিনি বলেন, অন্যরা সাহায্য করতে চাইলেও নিজের কাজ নিজে করতে পছন্দ করেন তিনি।
মজার মানুষ বিল গেটস
একবার এক সাক্ষাৎকারের সময় হুলুস্থুল কাণ্ড বাধিয়ে বসেন বিল গেটস।
সাংবাদিককে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন তিনি। ওই সময় বাথরুমের গিয়ে নিজেকে আটকে রাখেন।
যতক্ষণ পর্যন্ত সাংবাদিক ক্ষমা না চান, ততক্ষণ বাথরুমে বসে থাকার হুমকি দেন। তাতে কাজ হয়।
মাইক্রোসফটের প্রতিবেদক ম্যারি জো ফলি এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান।
ফলি বলেন, মজার একটি ঘটনা এটি। কমডেক্স নামের এক সম্মেলনের সময় কয়েকজন সাংবাদিক মিলে গেটসের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন।
ওই সময়কার বিখ্যাত সাংবাদিক জন ডজ খেপিয়ে দেন বিল গেটসকে। অবশ্য তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার ধরন ছিল অন্যদের চেয়ে আলাদা।
তিনি বিল গেটসকে ‘বাজারের সংজ্ঞা কী’ জাতীয় প্রশ্ন করেন। এতে বিল খেপে যান এবং উঠে গিয়ে বাথরুমে যান এবং নিজেকে আটকে রাখেন।
বলেন, জন ক্ষমা না চাইলে আর বেরোবেন না। জন তখন বাথরুমের দরজার সামনে গিয়ে বলেন, ‘আই অ্যাম সরি।’
আইনস্টাইন এর ছাত্র জীবন
আইনস্টাইন স্কুলে যেতে পছন্দ করতেন না, স্বভাবতই তিনি ভাল ছাত্র ছিলেন না। অংক ও বিজ্ঞানে খুবই ভাল থাকলেও অন্যান্য বিষয়ে ভাল ছিলেন না।
আইনস্টাইনের বাবা যখন জার্মানি ছেড়ে সুইজারল্যান্ডে চলে গেলেন তখন তিনি সুইস ফেডারেল পলিটেকনিক স্কুলে ভর্তি হতে চাইলেন।
ভর্তি পরীক্ষায় অংক ও বিজ্ঞান ছাড়া বাকি সব বিষয়েই ফেল করেন। এরপর এক বছর পর তিনি এখানে ভর্তি হতে সক্ষম হন।
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল জীবনী !
একবিংশ শতাব্দীর এজন সম্মানিত ও দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ ছিলেন উইনস্টন চার্চিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
১৮৭৪ সালের ৩০ নভেম্বর ইংল্যান্ডের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন উইনস্টন চার্চিল। ইতিহাসের সফলতম এই রাষ্ট্রনায়ক ছাত্র হিসেবে সাফল্য লাভ করেননি।
স্কুলের গন্ডি পেরুতে তাকে ৩টি স্কুল বদলাতে হয়। ছোটবেলা থেকেই তিনি স্বাধীনচেতা ও বিদ্রোহী স্বভাবের ছিলেন।
সামরিক জীবনে প্রবেশ করতে পরীক্ষায় পাশ করেন তিনবারের প্রচেষ্টায়। অথচ তিনিই একসময় ওয়াশিংটন পোষ্টের মত পত্রিকার রিপোর্টার হয়েছিলেন।
তিনিই একমাত্র ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, যিনি ১৯৫৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন।
সফল রাজনীতিবিদ ও ইতিহাসবিদ চার্চিল চল্লিশটির বেশি বই রচনা করেছেন।
১৯৪০-১৯৪৫ ও ১৯৫১-১৯৫৫ এই দুই মেয়াদে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯০৮ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর ক্লেমেন্টাইন হোজিয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন উইনস্টন চার্চিল। দাম্পত্য জীবনে তারা পাঁচ সন্তানের জনক জননী।
নানা বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি। খ্যাতিমান এই রাজনীতিবিদের অনেক মজার ঘটনা আছে ৷
এছাড়া ও বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন, স্টিভ জবস, বিল গেটস, আইনস্টাইন, রবীন্দ্রনাথ এমনকি কাজিনজরুল ইসলাম এর জীবনী গেটে দেখুন তারা কি করেছে।
- তাই যারা ফেল করেছ তারা একেবারে ভেঙ্গে পড়েন না ৷যারা ফেল করেছে তাদের জন্য করণীয়:
১. অতিরিক্ত আতঙ্কিত হবে না—এটিই জীবনের শেষ নয় এবং তুমি একা ব্যর্থ হওনি। আরও অনেক পথ খোলা রয়েছে।
২. ব্যর্থ হলে হতাশ হওয়া, বিপর্যস্ত হওয়া, রাগ, ক্রোধ, গ্লানি, অপমানে জর্জরিত হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার।
এ ‘শোক’ সয়ে যাওয়ার জন্য নিজকে কিছুটা সময় দাও—ব্রেক নাও। সময় সব ক্ষতের উত্তম মলম।
৩. তুমি এখন খুবই খারাপ অনুভব করছ। নিশ্চয় চাইবে না ভবিষ্যতেও তেমন খারাপ কিছু ঘটুক।
তাই বৃহত্তর প্রেক্ষাপট থেকে ঘটনাটি পুনর্মূল্যায়ন করো, সৃজনশীলভাবে চিন্তা করো, আমি যেমনটি চাই, তেমনটি পেতে হলে আমাকে কী কী করতে হবে?
৪. কোনো একটি ব্যর্থতা দিয়ে নিজেকে সংজ্ঞায়িত করবে না—ব্যর্থতা একটি ঘটনামাত্র।
কোনো মানুষ ব্যর্থ নয়, তার কিছু চেষ্টা, কাজ ব্যর্থ হতে পারে।
৫. যদি তুমি দেখাতে পারো, যেকোনো ব্যর্থতাকে তুমি মোকাবিলা করতে পারো, তাহলে কেউ মনে রাখবে না যে তুমি ব্যর্থ হয়েছিলে।
৬. কিছু ঘটনাকে তুমি এড়িয়ে যেতে পারো না বটে, কিন্তু সেটি কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখবে এবং এর প্রতি তোমার প্রতিক্রিয়া কী ধরনের হবে, সেটি তুমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারো।
৭. নিজেকে বিচ্ছিন্ন করবে না—পরিবারের লোক, বন্ধুবান্ধব সবার সঙ্গে সংযোগ রাখো। গ্লানি, অপমান, কষ্ট চাপিয়ে রাখবে না।
প্রিয়জনদের সান্নিধ্যে থাকো। নিজের ওপর যেমন নির্ভর করবে, তেমনি শুভাকাঙ্ক্ষীদের ওপরও নির্ভর করো।
৮. নিজের যত্ন নাও—যা ভালো লাগে করো, সামাজিক যোগাযোগ বাড়িয়ে দাও, ভালো ঘুম দাও, পুষ্টিকর খাবার খাও, ব্যায়াম করো। কোথায় ও কার কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া যেতে পারে, তার একটি তালিকা তৈরি করো।
৯. আবেগকে ‘বোতলবন্দী’ করে রাখবে না। এগুলো যথাযথভাবে প্রকাশ করো।
১০. ভাবো, তুমি একাই কি হেরেছ? এই হারার জন্য সবাই কি তোমাকে অপছন্দ করছে, অবজ্ঞা করছে, তিরস্কার করছে বা দূরে সরিয়ে দিয়েছে? খেয়াল করলে দেখবে, অনেকেই তোমার প্রতি সহানুভূতিশীল ও সহমর্মী।
১১. ঘটনাকে ভয়াবহ রূপ দেবে না—কোনোভাবেই আমার পক্ষে উঠে দাঁড়ানো সম্ভব নয় বা নিজেকে অতিরিক্ত দোষারোপ করবে না।
১২. এত ভগ্নমনোরথ অবস্থায়ও আশাবাদী হও। আশঙ্কা, ভীতির দিকে নজর না দিয়ে যা অর্জন করতে চাও, তার একটি ইতিবাচক মন-ছবি তৈরি করো।
১৩. ব্যর্থতার কারণ নিয়ে ভাবো—যা ঘটেছে, বিস্তারিত সব লেখো, সম্ভাব্য সমাধান কী, খুঁজে বের করো ও কী কী বাধা আসতে পারে, তা-ও লেখো।
১৪. ঘটনার পরও জীবন চলবে—ব্যর্থ হয়েছ, তার মানে কেয়ামত হয়ে যায়নি। জীবন-জগৎ আগের মতোই চলবে।
তুমি পরিবর্তিত হবে, জীবন পরিবর্তিত হবে—কিছুই এক রকম থাকবে না। একই রকমভাবে তোমার এই দুঃসময়ও দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
সামনে তাকাও, উঠে দাঁড়াও, অল্প করে হলেও চলতে থাকো।
১৫. অনলাইনে বিভিন্ন পেজে মানসিক সহায়তামূলক লেখা থাকে, সেগুলো পড়ে দেখতে পারো।